নয়াদিল্লি: টিকাকরণ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক ও কেন্দ্রীয় সরকারকে কাঠ গড়ায় তুলছেন অনেকেই। প্রশ্ন একটাই। ১৮ বছরের উর্ধ্বে সবার জন্য টিকাকরণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে না কেন? এই প্রশ্নের উত্তর দিতেই এবারে মুখ খুলল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব জানালেন, “আপাতত টিকাকরণের প্রক্রিয়া নির্দিষ্ট বয়স অনুযায়ী বেঁধে দেওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। যাদের প্রয়োজন শুধুমাত্র তারাই এই মুহূর্তে টিকা পাবেন।”
গত ১৬ জনুয়ারি দেশজুড়ে শুরু হয়েছে করোনা ভাইরাসের টিকাকরণ প্রক্রিয়া। প্রথম পর্যায়ে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী-সহ প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের টিকা দেওয়া হয়েছে। তার পরবর্তী পর্যায়ে ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের টিকাকরণ হয়েছে। বর্তমানে ৪৫ বছর বা তার উর্দ্ধে সবার টিকাকরণ হচ্ছে। তবুও দেশজুড়ে বারবার একটা প্রশ্নই উঠে আসছে, ১৮ বছরের উর্ধ্বে সমস্ত প্রাপ্ত বয়স্কদের টিকাকরণের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে না কেন? করোনা আবহে তাদেরকেও বাড়ির বাইরে যেতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা তাদেরও সমান। মঙ্গলবার এই প্রশ্নের উত্তর দিলেন স্বয়ং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ।
সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি জানালেন, “আমরা টিকা দানের জন্য অনেক ভাবনাচিন্তা করেছি। আমাদের মতে, যারা টিকা চাইছেন তারা নন, যাদের টিকা প্রয়োজন তাদেরকে দেওয়া হবে প্রতিষেধক। কারন এ ধরনের টিকাকরণের প্রধানত দুটি লক্ষ্য থাকে। প্রথমত, মৃত্যু আটকানো। দ্বিতীয়ত, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে মজবুত করা। আমরা এই দুটি লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছি।” তিনি আরও জানিয়েছেন, “মহামারীর ইতিহাস যখন লেখা হয় তখন সবার আগে লেখা হয় মৃতের সংখ্যা। ভারতে সেই সংখ্যাকে বেঁধে দেওয়ার জন্যই আমাদের এই স্ট্রাটেজি। ভারতের থেকে এই পরিকল্পনা ধার করেছে আমেরিকা, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মতো বহু প্রথম সারির দেশও।”