আমার বড় ঠোঁট দেখেই… আবার চুমু খেতে চাইছিল জাদ’, বিস্ফোরক আকাঙ্খা, চুম্বনে চটলেন সলমন

আমার বড় ঠোঁট দেখেই… আবার চুমু খেতে চাইছিল জাদ’, বিস্ফোরক আকাঙ্খা, চুম্বনে চটলেন সলমন

কলকাতা: এই মুহূর্তে বিনোদন জগতে যাঁদের নিয়ে চর্চা তুঙ্গে, তাঁরা নিঃসন্দেহে ‘বিগ বস্‌ ওটিটি’ খ্যাত আকাঙ্ক্ষা পুরী ও জাদ হাদিদ।  প্রকাশ্যে দু’জনের ঘনিষ্ঠ চুম্বন সাড়া ফেলেছে ওটিটি দুনিয়ায়৷ ক্যামেরার সামনে আধ মিনিটের চুম্বনে খান খান ভাইজানের প্রতিশ্রুতি৷ ক্যামেরার সামনে বিগ বসের ঘরে দুই সদস্যের এহেন কাণ্ডে চটেছেন সঞ্চালক। জাদ –আকাঙ্খার লম্বা ফ্রেঞ্চ কিস নিয়ে উইকেন্ড কা ওয়ারে বেশ রাগারাগিও করেছেন তিনি। সলমন সাফ জানিয়েছেন, তিনি নিজে যেমন সিনেমায় চুমু খান না, তেমনই তাঁর ঘরে প্রকাশ্যে চুমু খাওয়া চলবে না। আকাঙ্খাকে ধমকে এও বলেন, এইসব একটু নিয়ন্ত্রণে রাখুন৷ শো থেকে বেরোনোর পর যত মন চায় করবেন৷  এমনকী, বিগ বস ছাড়ার ভয়ও দেখান ভাইজান। 

বিষয়টি ঠিক কী? আসলে জাদ এবং আকাঙ্খাকে একটি খেলা দেওয়া হয়েছিল। একে অপরকে চুম্বন করার সাহস যাতে তাঁরা দেখাতে পারেন, সেজন্য চ্যালেঞ্জও ছুঁড়ে দেওয়া হয়। অনেকেই ভেবেছিল তারা হয়তো এই চ্যালেঞ্জ প্রত্যাখ্যান করবেন। কিন্তু, তেমনটা হয়নি৷ বরং দু’জনেই চুম্বনের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান এবং কিছুক্ষণের জন্য  একে অপরকে গভীর চুম্বন করেন৷ যদিও সেই চুমুতে রক্ষা হয়নি৷ কম ভোট পেয়ে বিগ বসের ঘর ছাড়তে হয় আকাঙ্খাকে৷  

এদিকে, আকাঙ্খা তাঁর ঠোঁটে ঠোঁট রাখার পরই নাকি তাঁর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন জাদ৷ শুধু তাই নয়, আকাঙ্ক্ষাকে ‘ব্যাড কিসার’ বলেও আখ্যা দেন। এ নিয়ে অপর প্রতিযোগী অবিনাশ সচদেবের সঙ্গে হাসাহাসিও করতে দেখা যায় জাদকে৷ তাঁর কথায়, ‘‘ও ঠক ঠক করে কাঁপছিল। তাই এতে কোনও অনুভূতি ছিল না। যদিও শো-এর শুরুতে আমার ওঁর প্রতি আগ্রহ ছিল। তবে এখন আর নেই৷ শুধুই খেলার জন্য করেছিলাম। এর কোনও মূল্য নেই আমার কাছে।’’ 

জাদের কাছে ‘ব্যাড কিসার’ তকমা পাওয়ার পর মুখ খোলেন আকাঙ্খাও৷ তিনি বলেন, ‘আমি নিজেকে আমার ঠোঁটের নড়াচড়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছিলাম৷ সেই কারণেই ও আমাকে ব্যাড কিসার বলেছে। কিন্তু ও মনে হয় কিছুক্ষণের জন্য ভুলে গিয়েছিল যে এটা একটা টাস্ক।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি ওঁর সঙ্গে সেভাবে জড়িত হতেই চাইনি। আমার দিক থেকে কোনও আবেগ ছিল না। আমি খুশি যে পূজা ম্যাম আমার পক্ষে দাঁড়িয়েছেন৷ জাদ এখনও এই বিষয়ে কথা বলছেন এবং এমনও বলেছেন যে তিনি আশা করেন ভবিষ্যতেও তিনি আমাকে আবার চুম্বন করার সুযোগ পাবেন। তিনি পুরো বিষয়টিকে ভিন্নভাবে নিয়েছিলেন। আমার কাছে ও একজন মিথ্যাবাদী এবং বোকা।’

সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আকাঙ্খা আরও বলেন, ‘‘আমি ওঁর সঙ্গে প্রেমে লিপ্ত হয়ে কিছু করিনি। আমাকে টাস্ক দেওয়া হয়েছিল এবং আমি তা সম্পন্ন করেছি। এর জন্য আমার কোনও আফসোস নেই। কিন্তু, আমার খারাপ লেগেছিল যে, জাদ এই টাস্কটাকে ব্যক্তিগতভাবে নেয়৷ আমি যদি ৩০ সেকেন্ডের জন্য ওঁর ঠোঁট স্পর্শ করতাম, তাহলে টাস্কটা জিততে পারতাম। কিন্তু, জাদ এতটাই জড়িয়ে পড়ল..।’

আকাঙ্খা সাফ জানান, ‘আমি আমার মাথায় শুধুমাত্র ৩০ সেকেন্ডের বিষয়টি রেখেছিলাম। আমাকে এই সময়টা হোল্ড করতে হবে। কিন্তু জাদ এতে প্রভাবিত হয়ে গিয়েছিল। ও আমাকে কিস করা শুরু করে দেয়। আমি কিন্তু আমার ঠোঁট ব্যবহার করছিলাম না। কারণ আমার মনে ওঁর প্রতি কোনও ফিলিংসই নেই। তাও আমার নামে রটিয়ে দিল, আমি নাকি ব্যাড কিসার।’

এরপরই বোমা ফাটিয়ে আকাঙ্খা বলেন, ‘আসলে ও যেরকম চেয়েছিল সেরকম কিছু আমার থেকে পায়নি। ও আমাকে চুমু খাওয়ার পর বলে, ‘তোমাকে যদি আবার চুমু খেতে পারতাম..। তোমার বড় বড় ঠোঁটগুলো আমার খুব ভালো লেগেছে।’  

হিন্দি, তামিল, মালয়ালম এবং কন্নড় ছবিতে অভিনয় করা আকাঙ্খার কথায়, ‘আমি ভেবেছিলাম জাদ এটা বুঝতে পারবে যে, একজন ভারতীয় মহিলা শিল্পী হিসেবে, এভাবে চুম্বন করাটা আমাকে কতটা অস্বস্তির মধ্যে ফেলেছিল। আমি আশা করছিলাম ও এসে আমার সঙ্গে কথা বলবে৷ সেই সময় আমার সেই আশ্বাসেরও প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তেমনটা হয়নি৷’

জাদের আচরণে চটেন ঘরের অপর সদস্য পূজা ভাটও৷ তিনি জাদকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘আমি দুঃখিত। কিন্তু,  তোমার কথা থেকেই বোঝা যায় তুমি খুব খারাপ মানুষ। তুমি কী মনে কর একজন মেয়েকে গোটা দুনিয়ার সামনে যা ইচ্ছে তাই বলা যায়? আমি দুঃখিত, আমি এটাকে সমর্থন করি না৷ আর করবও না।’

প্রসঙ্গত, বিগ বস ১৩-র প্রতিযোগী পারস ছাবড়ার সঙ্গে এক সময় সম্পর্কে ছিলেন আকাঙ্খা। তবে বিগ বসের ঘরে মাহিরা শর্মার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন পারস। এর পরেই আকাঙ্খার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যায়৷ ২০২২ সালে মিকা দি ভোটি শো-তে ওয়াইল্ড কার্ড এন্ট্রি নেন অভিনেত্রী। মিকা আর আকাঙ্খার পুরনো বন্ধু৷ শো-তে তাঁদের বিয়ে না হলেও, আকাঙ্খার গলাতেই মালা দিয়েছিলেন মিকা। শো-র কয়েকমাস পরে বিয়ের কথা থাকলেও তা এরিয়ে যান দুজনেই। 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *