দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলতেই রাতারাতি ভিলেন অজিত মাইতি? এরপরই হলেন আটক!

দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলতেই রাতারাতি ভিলেন অজিত মাইতি? এরপরই হলেন আটক!

নিজস্ব প্রতিনিধি: দলীয় নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে মুখ খুলতেই রাতারাতি ভিলেন হয়ে গেলেন সন্দেশখালির বেড়মজুর অঞ্চলের তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি। বেশ কিছুদিন ধরে অজিতকে গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়েছেন গ্রামবাসীরা। অভিযোগ গ্রামবাসীদের জমি দখল করেছেন তিনি। কিন্তু এতদিন অজিতের বিরুদ্ধে তৃণমূল নেতৃত্বকে কিছু বলতে শোনা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে রবিবার অজিত মাইতি সন্দেশখালির একাধিক তৃণমূল নেতাদের পচা আলুর সঙ্গে তুলনা করেন।

সংবাদমাধ্যমে অজিত বলেছেন,”২০১৯ সালে আমি বিজেপি করতাম। তখন তৃণমূল আমাকে চাপ দিয়ে দলে টানার চেষ্টা করেছিল। আমি দলে আসতে অস্বীকার করলে আমাকে মারধর করা হয়। পরে শেখ শাহাজানদের হাত ধরেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছি। এখন পচা আলু হয়ে গেছি। দলের পচা আলুদের সঙ্গে আমার নাম জড়ানোয় আমিও পচে গেলাম।” এরপরই অজিত মাইতিকে দল থেকে বহিষ্কার করে তৃণমূল। শুধু তাই নয়, সেই সঙ্গে এদিনই সন্ধ্যায় অজিত মাইতিকে আটক করে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে জল্পনা তুঙ্গে। 

বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই অজিত মাইতিকে গ্রেফতারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু এ বিষয়ে রাজ্য তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে কোনও মন্তব্য করতে শোনা যায়নি। কিন্তু রবিবার অজিত মাইতি দলের একাংশের বিরুদ্ধে মুখ খুলতেই কী তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করল তৃণমূল? সত্যিই কি মারধর করে, ভয় দেখিয়ে বিজেপি থেকে তৃণমূলে জোর করে আনা হয়েছিল অজিতকে? আর এই বিষয়টি নিয়ে অস্বস্তি বাড়ছে দেখেই শাসক দলের এমন পদক্ষেপ? এই প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই উঠছে। সবমিলিয়ে সন্দেশখালি কাণ্ডে তৃণমূলের অস্বস্তি যে বেড়েই চলেছে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *