ahul
নিজস্ব প্রতিনিধি: সামনের মাসেই লোকসভা নির্বাচনে দিনক্ষণ ঘোষিত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ‘ইন্ডিয়া’ জোটের শরিকরা নিশ্চিতভাবে আসন সমঝোতা রাজ্যে রাজ্যে করে উঠতে পারেনি। যদিও বেশ কয়েকটি রাজ্যে আসন সমঝোতার কাজ কার্যত চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই নির্বাচনে ফের বিজেপির জিতে ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনাই প্রবল। এক কথায় বলা যায় গেরুয়া শিবির হ্যাটট্রিকের মুখে দাঁড়িয়ে। কারণ রাম মন্দির উদ্বোধনের পর দেশ জুড়ে যে হিন্দুত্ব আবেগের ঢেউ উঠবে তার মোকাবিলা বিরোধীরা করতে পারবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
রাজনীতির কারবারিদের একাংশ মনে করেন এই লোকসভা নির্বাচন কার্যত বিরোধীদের কাছে এখনই হারা ম্যাচ হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস তথা বিরোধীদের লড়াইয়ের ময়দানে রেখে দেওয়ার শেষ চেষ্টা করছেন রাহুল গান্ধী। বর্তমানে যা রাজনৈতিক পরিস্থিতি তাতে রাহুলের ‘ভারত ন্যায় জোড়ো যাত্রা’র দিকেই তাকিয়ে রয়েছে কংগ্রেস তথা বিরোধীরা। কারণ এবারেও যাত্রার শুরুতেই দেখা যাচ্ছে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে রাহুলের কর্মসূচি ঘিরে ব্যাপক উন্মাদনা হচ্ছে। যে নাগাল্যান্ডে গত বিধানসভা নির্বাচনে ৬০টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস একটিতেও জয় পায়নি, সেখানেও রাহুলকে ঘিরে সাধারণ মানুষের উচ্ছ্বাস উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো। কংগ্রেস আশাবাদী যাত্রা যত এগিয়ে যাবে ততই সাড়া পাওয়া যাবে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে। তবে তাতে বিজেপির মতো হট ফেভারিট দলের মোকাবিলা কতটা করা যাবে সেটা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
তবু এটা বলতেই হবে রাহুল চেষ্টা করছেন। বিজেপি যতই তাঁকে কটাক্ষ করে ‘পাপ্পু’ তকমা সেঁটে দিক না কেন, রাহুল গান্ধীই যে বিজেপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সেটা সব সময়েই বোঝা যায়। তাই রাহুলের দ্বিতীয় ‘ভারত ন্যায় জোড়ো যাত্রা’র দিকে নজর রাখছে গেরুয়া শিবির। কতটা স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন পাওয়া যাচ্ছে এই কর্মসূচিকে ঘিরে, তা মেপে দেখছেন গেরুয়া নেতৃত্ব। গতবার রাহুলের যাত্রা দক্ষিণ ভারত থেকে শুরু হওয়ার পর কর্ণাটক এবং তেলেঙ্গানায় গেলে সেখানে ব্যাপক সমর্থন পাওয়া গিয়েছিল। পরে দেখা যায় দুটি রাজ্যেই কংগ্রেস ক্ষমতায় এসেছে। তাই এবারেও রাহুল যে রাজ্যগুলি দিয়ে যাবেন সেখানে লোকসভা নির্বাচনে কী ফলাফল হয় সেদিকে অবশ্যই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।