আমি পালিয়ে যাইনি, কথা বলতে চাই বলেই এসেছি, কলকাতায় তৃণমূলের সঙ্গে বসতে রাজি: নিরঞ্জন

আমি পালিয়ে যাইনি, কথা বলতে চাই বলেই এসেছি, কলকাতায় তৃণমূলের সঙ্গে বসতে রাজি: নিরঞ্জন

agreed

কলকাতা: কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে দিল্লিতে প্রতিবাদ আন্দোলনের পর রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসেছেন অভিষেক৷ কিন্তু দিল্লির পর কলকাতাতেও একই চিত্র৷ এখনও তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করেননি রাজ্যপাল৷ তিনি তাঁদের দার্জিলিং-এ সতে বলেছেন৷ এদিকে, রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ না হওয়ার পর্যন্ত ধর্না চলবে বলে জানিয়ে দিয়ছেন অভিষেক৷ এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে কলকাতায় এলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতি। যে কোনও জায়গায় বসে তিনি তৃণমূলের সঙ্গে কথা বলার প্রস্তাবও দিয়েছেন৷  সল্টলেকের বিজেপি দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি সব তথ্য নিয়ে এসেছি। কলকাতার যে কোনও জায়গায় বসে তৃণমূলের সঙ্গে কথা বলতে রাজি। দরকারে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরেও বৈঠক করা যেতে পারে। কিন্তু, জানি তৃণমূল বসবে না। ওরা কথা বলতেও চায় না। ওরা নাটক চালিয়ে যেতে চায়।’’ সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি,  গত মঙ্গলবার তিনি কৃষি ভবন থেকে পালিয়ে যাননি। তৃণমূলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করার জন্য আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষা করেছিলেন। কিন্তু তাঁরাই কথা বলতে চায়নি। বদলে নাটক করেছে। (agreed)

এদিকে, শনিবার সকাল সকাল কলকাতা বিমানবন্দরে এসে নামেন জ্যোতি৷ বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ বিজেপি দফতরে পৌঁছে সাংবাদিক বৈঠক করে৷ তাঁর দাবি, ২০১৯, ২০২০, ২০২১ এবং ২০২২ সালে পর পর রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। সেই চিঠিতে বলা হয়েছিল, পশ্চিমবাংলার হুগলি, পূর্ব বর্ধমান-সহ বিভিন্ন জেলায় ১০০ দিনের কাজে অনিয়ম হচ্ছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করুন৷  কিন্তু রাজ্য সরকার কোনও পদক্ষেপ করেনি। নিরঞ্জন আরও বলেন, ‘‘২০০৫ সালের রেগার আইনে কেন্দ্রীয় সরকার টাকা আটকাতেই পারে৷ বেআইনি কিচ্ছু হয়নি।’’ বিজেপির নেতারা গত কয়েক দিন ধরেই দাবি করছিলেন, তৃণমূল সব বিষয়েই আদালতে ছোটেন। তাহলে ১০০ দিনের কাজ ও আবাস যোজনার টাকা নিয়ে কেন আদালতে যাচ্ছে না শাসকদল? এর নিজেই সেই প্রশ্নের জবাব দিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘‘ওরা জানে কোর্টে গেলেই আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেবে। সেকারণেই যাচ্ছে না।’’ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *