নয়াদিল্লি: কর্নাটকে বাজিমাত কংগ্রেসের৷ বিজেপি’র থেকে কুর্সি ছিনিয়ে খেলাটাই পাল্টে দিয়েছে হাত শিবির৷ কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনকে যদি ‘কোয়ার্টার ফাইনাল’ ধরা হয়, তাহলে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের ‘ফাইনাল’ ম্যাচের আগে কংগ্রেসকে নামতে হবে ‘সেমিফাইনালে’৷ আর দেশের এই ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফল পাল্টে দিতে পারে পাশা। দক্ষিণ ভারত ‘বিজেপিমুক্ত’ করার পর এই ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোটকেই ‘পাখির চোখ’ করতে চাইছে কংগ্রেস।
চলতি বছর নভেম্বর-ডিসেম্বরেই ওই পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। এই পাঁচ রাজ্যের মধ্যে ইতিমধ্যেই রাজস্থান এবং ছত্তীসগঢ়ে ক্ষমতায় রয়েছে কংগ্রেস। অন্য তিন রাজ্য— মধ্যপ্রদেশ, তেলঙ্গানা এবং মিজোরামে তারা আবার প্রধান বিরোধী দল। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, কর্নাটকে নিরঙ্কুশ জয়ের পর বিজেপি বিরোধী শিবিরের ‘নেতৃত্বের’ প্রশ্নে কংগ্রেসের অবস্থান অনেকটাই জোরালো হয়েছে। কর্ণাটকে জয়ের রেশ জিইয়ে রেখে ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে জয়ের ধারা অক্ষুন্ন রাখতে এখন থেকেই কোমর বাঁধতে চলছেন রাহুল গান্ধী-মল্লিকার্জুন খড়্গেরা। সেই লড়াই সফল হলে লোকসভা ভোটের ‘বিজেপি বিরোধী মুখ’ হিসেবে রাহুলের অপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠার সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠবে।
২০১৮ সালের নির্বাচনে ওই ৫টি রাজ্যের মধ্যে ৩টিতে ক্ষমতায় এসেছিল কংগ্রেস। কিন্তু মধ্যপ্রদেশে জ্যোতিরাদিত্য শিন্ডের নেতৃত্বে প্রায় দু’ডজন কংগ্রেস বিধায়কের দলবদলের জেরে কমলনাথের সরকারের পতন ঘটে। সম্প্রতি সে রাজ্যে কর্নাটকের মতোই দলবদলের ‘উলটপুরাণ’ শুরু হয়েছে। বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন বেশ কিছু নেতা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কৈলাস জোশীর ছেলে তথা বিজেপি বিধায়ক দীপক। প্রায় দু’দশকের ‘প্রতিষ্ঠান বিরোধী’ হাওয়ার মোকাবিলা করে বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের পক্ষে সহজ হবে না বলেই ভোট পণ্ডিতদের একাংশ মনে করছেন।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>