কলকাতা: চির দিনের মতো না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়৷ দাদাকে আর ফোঁটা দেওয়া হল না বোনেদের৷ সুব্রত খেতে ভালোবাসতেন৷ হাসপাতালে যাওয়ার দিন কয়েক আগে নাড়ু খেতে চেয়েছিলেন তিনি৷ সুব্রতর বোন বুলবুল চট্টোপাধ্যায় কথা দিয়েছিলেন, ভাইফোঁটায় নাড়ু বানিয়ে খাওয়াবেন৷ দাদার জন্য এক কৌটো নাড়ুও বানিয়ে রেখেছিলেন তিনি৷ কিন্তু ফোঁটা আর দেওয়া হল না৷ কৌটোয় পড়ে রইল নারকেল নাড়ু৷
আরও পড়ুন- দুর্নীতি প্রসঙ্গ টেনে দলেরই প্রশ্নের মুখে বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক
শুক্রবার রাতেই হাসপাতাল থেকে ফেরার কথা ছিল রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রীর। পরের দিনই ভাইফোঁটা৷ তিন বোন ঠিক করে রেখেছিলেন, দাদা বাড়ি ফিরলেই দেখা করতে যাবেন। পর দিন ভাইফোঁটা দেবেন৷ সুব্রতর বাড়ির কাছাকাছিই থাকেন তাঁরা। তিন বোনের মধ্যে এক বোন তনিমা চট্টোপাধ্যায় নিজেও সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি জানান, সুব্রতর জন্মদিন হোক বা ভাইফোঁটা, তাঁর বাড়িতেই উৎসব পালন করা হত। আর সঙ্গে থাকত ঢালাও খাওয়া দাওয়াও। সুব্রতর পছন্দ ছিল সাবেকি খাবার৷ পছন্দের তালিকায় ছিল পোস্তর বড়া, মাছের টক, পাঠার মাংস। তবে শরীর অসুস্থ থাকায় এ বার খাওয়া দাওয়ার বিশাল আয়োজন ছিল না। সুব্রত অসুস্থ থাকায় খাওয়াদাওয়ার উপরেও নিশ্চত ভাবেই নিষেধাজ্ঞা জারি করতেন চিকিৎসকরা৷ খাওয়াদাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করলেও পছন্দের নারকেল নাড়ুর ইচ্ছেপূরণের ব্যবস্থা করেছিলেন বোনেরা। তবে সেই ইচ্ছে আর পূরণ করতে পারলেন না৷