নয়াদিল্লি: সংক্রমণ উদ্বেগ বাড়ালেও স্বস্তি দিচ্ছে সুস্থতার হার৷ যাঁরা করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়ে উঠছেন, তাঁদের বেশ কিছু পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা৷ সবার আগে তাঁদের ভ্যাকসিন নেওয়ার উপদেশ দেওয়া হচ্ছে৷ বিশেষ ভাবে যত্ন নিতে বলা হচ্ছে শরীরের৷ পাশাপাশি সুস্থ হয়ে ওঠার বেশ কিছু টেস্ট করানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা৷
আরও পড়ুন- দৈনিক সংক্রমণ কিছুটা কমলেও আক্রান্ত ২ কোটি পার, পড়ুয়া চিকিৎসকদের দ্বারস্থ কেন্দ্র
আমাদের ইমিউন সিস্টেম ভাইরাসের বিরুদ্ধে কঠোর ভাবে লড়াই করে৷ তবে পর্যবেক্ষণে দেখা গিয়েছে SARS-COV-2 ভাইরাসের ভাইরাল লোড করাম পরেও দীর্ঘস্থায়ী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে৷ যা শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলিকে প্রভাবিত করতে পারে৷ যা শরীরের ইমিউন সিস্টেমকেও আঘাত করতে পারে৷ তাই সুস্থ হওয়ার পর বেশ কিছু টেস্ট করানো দরকার৷
• igG অ্যান্টিবডি টেস্ট- সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার পর আমাদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়৷ যা ভবিষ্যতে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে৷ অ্যান্টিবডিগুলির মাত্রা নির্ধারণ করলে আপনাকে প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পর্কেও ধারণা স্পষ্ট হয়। সাধারণত অ্যান্টিবডি তৈরি হতে প্রায় সপ্তাহ খানেক সময় লেগে যায়৷ তাই কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা কারই ভালো৷ আর প্লাজমা দান করতে চাইলে কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট আসার এক মাসের মধ্যে এই পরীক্ষা করুন৷ এটাই সঠিক সময়৷
• কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট (CBC) টেস্ট– সিবিসি টেস্ট একটি মৌলিক পরীক্ষা৷ যার মাধ্যমে রক্তের বিভিন্ন কোষ পরিমাণ করা হয়৷ কোভিডের বিরুদ্ধে আপনার শরীর কতটা সাড়া দিচ্ছে এই টেস্ট থেকে তা বোঝা যায়৷
• গ্লুকোজ, কোলেস্টরল টেস্ট- সংক্রমণের জেরে অনেকের শরীরেরই গ্লুকোজ ও রক্তচাপ ওঠানামা করতে পারে৷ গ্লুকোজ দেহকোষের মধ্যে ঢোকার পর অক্সিডাইজড হয়৷ এর থেকে অডিনোসিন ট্রাই ফসফেট (এটিপি) অর্থাৎ এনার্জি তৈরি হয়। এই এনার্জি থেকেই একটি কোষ তার কাজ করার জন্য পুষ্টি পেয়ে থাকে। এই এনার্জি পাওয়া যায় গ্লুকোজ থেকে।
• নিউরো ফাংশান টেস্ট- কোভিড রিপোর্ট নেগিটেভ আসার কয়েক সপ্তাহ পর নিউরো ফাংশন টেস্ট করা উচিত৷ এমনটাই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা৷ এর মাধ্যমে উদ্বেগ, ক্লান্তি সবচাই ধরা পড়ে৷
• ভিটামিন ডি টেস্ট- ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ তা সুস্থ হওয়ার পর ভিটামিন ডি টেস্ট করা খুবই প্রয়োজন৷
• বুকের স্ক্যান- করোনা ভাইরা আক্রমণ করে আমাদের ফুসফুসে৷ তাউ সুস্থ হওয়ার পর আমাদের ফুসফুস কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হল তা স্ক্যান করে দেখে নেওয়া ভালো৷ বিশেষ করা যাঁরা ট্রিপল মিউট্যান্ট দ্বারা আক্রান্ত হন, তাঁদের জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷
• হার্ট ইমেজিং এবং কার্ডিয়াক স্ক্রিনিং – কোভিড সংক্রমণ আক্রান্তের শরীরে ব্যাপক প্রদাহ সৃষ্টি করে৷ যা হৃৎপিণ্ডের গুরুত্বপূর্ণ পেশীগুলিকে দুর্বল করে ক্ষতি করতে পারে৷ সে কারণেই এই পরীক্ষা করা খুবই প্রয়োজনীয়৷