নয়াদিল্লি: বাইশের বিধানসভায় পাঁচে চার বিজেপি৷ উত্তরপ্রদেশ তো বটেই গোয়া, মণিপুর ও উত্তরাখণ্ডেও গেরুয়া ঝড়৷ একই মধ্যে ব্যতিক্রম পঞ্জাব৷ সে রাজ্যের মানুষ দায়িত্ব তুলে দিলেন আইআইটি খড়গপুরের প্রাক্তনীর দলের হাতে৷ কেজরিওয়াল ম্যাজিকে পঞ্জাব দখল নিল আম আদমি পার্টি৷ পঞ্জাবে ক্ষমতা দখলের ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই পরবর্তী রোডম্যাপ ছকে ফেললেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী৷ দিল্লি ও পঞ্জাব জয়ের পর তাঁর লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজ্য গুজরাত৷
চলতি বছরের শেষেই ভোট গুজরাত ও হিমাচলপ্রদেশে৷ ইতিমধ্যেই কর্নেল অজয় কোঠিয়াল দিশান্তকে হিমাচল প্রদেশে আপের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। পাহাড়ি রাজ্যে সংগঠন তৈরির কাজ চলছে জোর কদমে। তবে শুধু হিমাচল নয়৷ গুজরাতে ঝাড়ু ঝড় তোলাই কেজরির অন্যতম লক্ষ্য৷ গুজরাত বিধানসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথাও ঘোষণা করে দিয়েছেন তিনি৷
বলে রাখা ভালো, গুজরাতে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি পুর নির্বাচনে ছাপ ফেলেছে আপ। সুরাটে তারাই প্রধান বিরোধী দল৷ তবে শুধু সুরাটের মধ্যেই নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখতে চায় না কেজরির দল৷ গোটা রাজ্য জুড়েই শাখা বিস্তার করতে চাইছে কেজরিওয়াল অ্যান্ড কোং। সেই লক্ষ্যেই শনিবার থেকে আগামী পাঁচদিনের জন্য গুজরাটে শুরু হচ্ছে ‘তিরঙ্গা যাত্রা’। সেখানে উপস্থিত থাকবেন আম আদমি পার্টির দুই মুখ্যমন্ত্রীই। ১৬ মার্চ পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন ভগবন্ত মান।
জাতীয় স্তরে ক্ষমতা বৃদ্ধির চেষ্টায় ক্রমাগত লড়ছেন কেজরিওয়াল৷ সেই সঙ্গে লড়াই চলছে দলের ‘জন্মভূমি’ দিল্লিতেও৷ কারণ সামনেই দিল্লির পুরসভা নির্বাচন। বৃহস্পতিবারই নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে যেত৷ শেষ মুগহূর্তে কেন্দ্রের পাঠানো একটি চিঠিতে নি৪বাচন স্থগিত হয়ে যায়৷ ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, পূর্ব, উত্তর ও দক্ষিণ – এই তিনটি পুরসভাকে যোগ করার পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্র। যদিও এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>