কলকাতা: অশান্তির আবহে শুরু হওয়া পঞ্চায়েত ভোটের গায়ে চাপ চাপ রক্তের দাগ৷ গ্রাম বাংলাজুড়ে বেলাগাম সন্তাস৷ শনিবার সকাল থেকে রাজ্য জুড়ে যখন হিংসা, খুনোখুনি, মুড়িমুড়কির মতো চলছে বোমাবাজি, তখন একপ্রকার নিরুত্তাপ রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
কমিশনের দফতর থেকে নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার বাড়ির দূরত্ব খুব বেশি হলে ২ কিলোমিটার হবে। অথচ আজ সকালে তিনি যখন দফতরে এলেন তখন ঘড়িতে ১০টা৷ এদিকে, ১১টা বাজার আগেই মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার, আউশগ্রাম, মানিকচকে খুন হয়ে গিয়েছেন ৭ জন। তার মধ্যে শাসক দলেরই রয়েছেন ৫ কর্মী৷
এহেন পরিস্থিতিতে বেলা ১১টা নাগাদ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে সব জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে একটি টেক্সট মেসেজ পাঠানো হয়। তাতে বলা হয়েছে- “জানি আপনারা সবাই আগুন নেভাতে আর অভিযোগ সামলানোর কাজে ব্যস্ত। তবুও বিরক্ত করছি। জেলা ধরে ধরে কোথায় কোন বুথে কত কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে তার তালিকা পাঠান। ওই তালিকা স্পর্শকাতর ও স্পর্শকাতর নয় এমন শ্রেণিতে ভাগ করে পাঠাতে হবে৷ কত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে সেই হিসাব চাইছি না।”
শুক্রবার রাত থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই বলে বিভিন্ন এলাকা থেকে অভিযোগ উঠেছে৷ তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এই অভিযোগ তোলা হয়েছে তৃণমূলের তরফে৷ সেই সঙ্গে তাদের দাবি, কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্ত্বেও কেন এত হিংসার ঘটনা ঘটছে। অন্যদিকে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন “শাসক দলের পোষ্য রাজীব সিনহা কোথাও ঠিকমতো বাহিনী মোতায়েন করেনি। এই যে এত খুন হচ্ছে, রক্ত ঝরছে, এর জন্য দায়ী ওই লোকটাই। লাশের পাহাড়ের দিকে ও শকুনের মতো তাকিয়ে থাকবে”।