‘ইন্ডিয়া’ নিয়ে মমতার দাবির পর ‘সেটিং’ তোপে তাঁকে বিঁধলেন অধীর

‘ইন্ডিয়া’ নিয়ে মমতার দাবির পর ‘সেটিং’ তোপে তাঁকে বিঁধলেন অধীর

adhir

নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘ইন্ডিয়া’ জোট নিয়ে সদ্য কৃষ্ণনগরের সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে দাবি করেছিলেন, তা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে কার্যত ‘সেটিং’ রয়েছে বলেও মন্তব্য করলেন তিনি। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে বিষয়টি নতুন করে চর্চায় চলে এল। অধীর বলতে চেয়েছেন বিজেপির ইশারায় ‘ইন্ডিয়া’ জোট ভেঙে দিয়েছেন মমতা। রাজ্যে এই জোট ভাঙার জন্য পুরোপুরি মুখ্যমন্ত্রীকেই দায়ী করেছেন অধীর। রবিবার নদিয়ায় কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের নির্বাচনী সভা থেকে ‘ইন্ডিয়া’ জোট নিয়ে রাজ্যের বাম-কংগ্রেসকে দুষেছেন মমতা। তিনি বলেছেন, “ইন্ডিয়া  অ্যালায়েন্স আমি তৈরি করেছি,  নামটাও আমার দেওয়া। ভোটের পর আমি দেখে নেব। কিন্তু বাংলায় সিপিএম, কংগ্রেস,  বিজেপি আমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এখানে সিপিএমকে ভোট দেওয়া মানে বিজেপিকে ভোট দেওয়া, কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া মানে বিজেপিকে ভোট দেওয়া।”

তাতে সোমবার অধীর বলেন, “প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে ইন্ডিয়া জোট ভাঙলেন কেন আপনি? কার ভয়ে ইন্ডিয়া জোট ভেঙেছেন? অবরিন্দ কেজরিওয়াল ইন্ডিয়া জোট ভাঙেননি। হেমন্ত সোরেন ইন্ডিয়া জোট ভাঙেননি। তাই তাঁদের জেলে যেতে হয়েছে। আর আপনি খোকাবাবুকে বাঁচাতে, ইডি-সিবিআইয়ের হাত থেকে রেহাই পেতে, যাতে খোকাবাবু রক্ষা পায়, তার জন্য ইন্ডিয়া জোট ভেঙে আপনি মোদির দালালি করছেন। আপনি বলছেন আপনি নিজে ইন্ডিয়া জোট করেছিলেন। কেন আপনি ইন্ডিয়া জোট ভাঙলেন? কাকে খুশি করতে? কার হাত থেকে বাঁচতে? আমার এই প্রশ্ন আপনার কাছে থাকল। মানুষ এগুলো সব জানে। ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে আপনি বেইমানি করেছেন।”   

অধীর-মমতার বিবাদ রাজ্য রাজনীতিতে নতুন কোনও বিষয় নয়। এবার বহরমপুর আসনটিকে পাখির চোখ করেছে তৃণমূল। সংখ্যালঘুু অধ্যুষিত বহরমপুর কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী করেছে প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে। তাই অধীরের লড়াইটা বেশ কঠিন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সেই জায়গা থেকে অধীর চৌধুরী সুকৌশলে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে আঁতাত রয়েছে এই অভিযোগ তুলে বহরমপুরের ভোটারদের বিশেষ বার্তা দিতে চেয়েছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই বাংলায় ‘ইন্ডিয়া’ জোট না হওয়ার জন্য মমতাকেই দায়ী করেছেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − one =