নয়াদিল্লি: তাহলে কি বলা যায় কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চূড়ান্ত পর্যায়ে? কারণ এবার কার্যত মুখোমুখি কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা কপিল সিব্বল এবং কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। দলের সমালোচনা করার প্রেক্ষিতে কপিল সিব্বল অভিনব পরামর্শ দিলেন অধীর। তিনি বললেন, সিব্বল চাইলে অন্য দলে যোগ দিতে পারেন, না হলে নতুন পার্টি তৈরি করতে পারেন!
বিগত কয়েক মাসে একাধিকবার কংগ্রেসের সমালোচনা করেছেন খোদ কপিল সিব্বল। তিনি জানিয়েছেন, দলের সংগঠনকে চাঙ্গা করে তোলার সময় এসে গেছে, এখন আর বেশি ভাবা চলবে না। সাংগঠনিক কাজে মন দিতে হবে কারণ দলের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে! এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, প্রবীণ নেতা কপিল সিব্বল যদি মনে করেন কোন সমস্যা হচ্ছে তাহলে তিনি অনায়াসে দলের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং তার পুত্র রাহুল গান্ধীকে এ বিষয়ে বলতে পারেন, কারণ তিনি তাদের খুবই ঘনিষ্ঠ। এর পরেই অধীর মন্তব্য করেন, যদি কারোর মনে হয় কংগ্রেসে তিনি যোগ্য সম্মান পাচ্ছেন না বা কংগ্রেস যোগ্য দল নয়, তাহলে তিনি অনায়াসে অন্য দলে যোগ দিতে পারেন যে দলকে তার উপযুক্ত মনে হবে। আর তা না হলে, নতুন কোন দল তৈরি করে ভোট ময়দানে আসতে পারেন।
সমালোচনা এখানেই থামিয়ে দেননি নিয়ে অধীর। তিনি সিব্বলের নাম না করে বলেন, যে সমস্ত নেতারা এখন দলের নেতৃত্বের সমালোচনা করছেন, তারাক বিহার নির্বাচনের সময় কোথায় ছিলেন, কেউ জানে না। শুধু কথা বলে দলের সংগঠন চাঙ্গা করা যায় না, তার জন্য মাঠে নেমেও কাজ করতে হয়। প্রসঙ্গত, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন ছাড়া পরবর্তী সময়ে কংগ্রেস কোন নির্বাচনে ভালো ফল করতে পারেনি। লোকসভা নির্বাচন বাদ দিয়ে সাম্প্রতিক বিহার নির্বাচনেও আশানুরূপ ফল করতে পারেনি রাহুল-সোনিয়ার দল। কয়েক মাস ধরেই কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের একাংশ নেতৃত্তের বিরুদ্ধে কথা বলছেন, এখন বিয়ার নির্বাচনের পর সেই সমালোচনার ধার আরো বেড়েছে। মন্তব্য করা হচ্ছে, কংগ্রেসের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে, এখনই সময় গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার। কিন্তু আদতে সেই সিদ্ধান্ত কি হবে এবং আদৌ সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে কিনা তা সময় বলবে।