কলকাতা: কলকাতায় ছবির শ্যুটিং করতে আসা করোনা আক্রান্ত ব্রিটিশ অভিনেত্রীকে নিয়ে কার্যত একপ্রকার সিনেমা চলল বেলেঘাটা আইডি হসপিটালে। বনিতা সান্ধু যিনি বেশ কিছু বলিউড সিনেমায় অভিনয় করেছেন, বরুণ ধাওয়ানের বিপরীতে ‘অক্টোবর’ সিনেমায় তিনি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন৷ এবারও নতুন সিনেমার শ্যুটিংয়ে কলকাতায় পা রেখে চূড়ান্ত সমস্যায় পড়লেন ব্রিটিশ অভিনেত্রী৷
দিন কয়েক আগে কলকাতা বিমান বন্দরে নামার পর তাঁর নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সেই রিপোর্ট পজেটিভ আসার পর তাঁকে ভর্তি করা হয় চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যানসার হাসপাতালে। তাঁর রিপোর্ট আবার পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় ক্যালকাটা স্কুল অফ ট্রপিকাল মেডিসিনে। সেখান থেকে তাঁর রিপোর্ট পজেটিভ আসে৷ তাঁকে আজ দুপুরে নিয়ে আসা হয় বেলেঘাটা আইডি হাপাতালে। কিন্তু, সেখানে ভর্তি নিয়ে শুরু হয় জটিলতা৷ প্রায় ৪ ঘণ্টা অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে থাকতে হয় অভিনেত্রীকে৷
উল্লেখ্য এই অভিনেত্রী সুইজারল্যান্ড হয়ে লন্ডন এবং দুবাই ঘুরে ভারতে আসেন। দ্বিতীয় বার তার রিপোর্ট পজেটিভ আসার পর আর কোনও ঝূঁকি নিতে চাননি স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। তাঁরা অভীনেত্রীকে ব্রিটেন স্ট্রেনের জন্য আলাদা করে তৈরি বিভাগে ভর্তি হও্যার পরামর্শ দেন। কিন্তু আজ দুপুর তিনটে নাগাদ তাঁকে বেলেঘাটা আইডিতে আনা হয়৷ কিন্তু, তিনি নামলেননি অ্যাম্বুলেন্স থেকে। টানা চার ঘণ্টা ধরে চলল নাটক৷ উলটে হাসপাতাল কর্মী এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে দূর্ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে গোটা শ্যুটিং টিমের বিরুদ্ধে। এমনকি তাঁরা জোর করে হসপিটাল থেকে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
তাঁরা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বেলেঘাটা আইডির পরিষেবা ভালো না, তাদের যদি দ্রুত না ছাড়া হয়, তবে তারা জোর করেই বেরিয়ে যাবেন। এরপর বাধ্য হয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়৷ পুলিশ এসে মধ্যস্থতা করে। তারা শেষ পর্যন্ত মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হসপিটালে যেতে সম্মত হন তিনি৷ পুলিশের পাইলট কার-সহ তাঁদের হাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সূত্রের খবর, সেখান থেকে তাঁর নমুনা পাঠানো হবে কল্যাণীতে৷ যেখানে তাঁর জিন বিশ্লেষণ করে দেখা হবে, এই করোনা ভাইরাস নতুন স্ট্রেনের কিনা৷ গোটা বিষয়টি স্বাস্থ্য দফতর ছাড়াও সংশ্লিষ্ট দূতাবাসে জানানো হয়েছে। কিন্তু একজন সাংস্কৃতিক বোধ সম্পন্ন অভিনেত্রী কতটা দায়িত্ব জ্ঞানহীন হতে পারে, তা আজ এই ঘটনা প্রমাণ করছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷