যোগীর রাজ্যে ‘বেপাত্তা’ প্রায় ১২০০ করোনা রোগী! হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ-প্রশাসন

জানা গেছে, লখনউ প্রশাসনের তরফে ইন্টিগ্রেটেড কোভিড-১৯ কম্যান্ড অ্যান্ড কনট্রোল সেন্টার বানানো হয়েছিল, যাতে সার্ভেইল্যান্সের মাধ্যমে করোনা আক্রান্ত রোগীদের পরিচয় এবং তাদের রোগের ইতিহাস নোট করা যায়। কিন্তু ভুল ঠিকানা এবং ফোন নম্বর প্রদানের কারণে তাদের কাছে পৌঁছনো মুশকিল হয়ে পড়ছে।

 

লখনউ: করোনা ভাইরাস নিয়ে জনমানসে আতঙ্ক একটা বরাবরই আছে, আর তা থাকাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেই আতঙ্ক বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছলে তা উলটে প্রশাসনের আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এমনটাই হয়ে চলেছে এই দেশে। সাধারণ মানুষের সচেতনতার অভাব মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল বেঙ্গালুরুতে। এবার সেই একই অবস্থা হল যোগীর রাজ্য উত্তরপ্রদেশে। জানা যাচ্ছে, বেঙ্গালুরুর মতো লখনউতেও প্রচুর করোনা পজিটিভ মানুষ ‘নিখোঁজ’ হয়ে যাচ্ছেন।

আরও পড়ুন: মোদী থাকলে আমি নেই! উমার মন্তব্যে রাম-বিতর্ক! ভেস্তে যাবে ভূমি পুজো?

এই খবর শুনে আপনার যদি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার হিটলার-শাসিত জার্মানির কথা মনে হয় তবে সেই চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। সরকার বা প্রশাসন কোভিড-১৯ আক্রান্ত জন সাধারণকে গুম করে ফেলছে, এমন মোটেও নয়। আসলে আম আদমিই গণ্ডগোলটা পাকাচ্ছে। সরকারি চিকিৎসালয়ে কোভিড পরীক্ষার সময় প্রচুর মানুষ সঠিক তথ্য দিচ্ছেন না। কেউ ঠিকানা ভুল দিচ্ছেন তো কেউ ভুলভাল ফোন নম্বর দিচ্ছেন। ফলে পরে সরকার যখন সুস্থ-অসুস্থের পরিসংখ্যান নিতে যাচ্ছে তখন সমস্ত হিসেব গোলমাল হয়ে যাচ্ছে। 

 

এর আগে কর্নাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে এমন ভাবেই ৩৩৩৮ জন করোনা পজিটিভ রোগী ‘বেপাত্তা’ হয়ে গেছিল বলে জানিয়েছে প্রশাসন। একই ভাবে লখনউ প্রশাসন জানিয়েছে, ২২৯০ জন কোভিড আক্রান্ত মানুষের খোঁজ পাচ্ছিল না তারা। কারণ সেই একই, যে ঠিকানা বা মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়েছে তা ভুলভাল। প্রচুর কাঠখড় পুড়িয়ে অবশেষে ১১৭১ জনের খোঁজ পেয়েছে পুলিশ। কিন্তু নিখোঁজ এখনও বাকি ১১৯১ জন করোনা রোগী। 

আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত দেশের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী, হাসপাতালে ভর্তি ইয়েদুরাপ্পা

 

জানা গেছে, লখনউ প্রশাসনের তরফে ইন্টিগ্রেটেড কোভিড-১৯ কম্যান্ড অ্যান্ড কনট্রোল সেন্টার বানানো হয়েছিল, যাতে সার্ভেইল্যান্সের মাধ্যমে করোনা আক্রান্ত রোগীদের পরিচয় এবং তাদের রোগের ইতিহাস নোট করা যায়। কিন্তু ভুল ঠিকানা এবং ফোন নম্বর প্রদানের কারণে তাদের কাছে পৌঁছনো মুশকিল হয়ে পড়ছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, কোভিড আক্রান্তদের সংস্পর্শে কারা এসেছে তা জানার জন্য একটি সেলও বানানো হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসা বা বলা ভাল পরীক্ষা করাতে আসা লোকজন এমনকী নিজেদের সঠিক পরিচয়ও দিচ্ছে না। অতিমারির পরিস্থিতিতে যখন বার বার সচেতনতাকেই হাতিয়ার করার কথা বলা হচ্ছে তখন এই ঘটনাগুলি সত্যিই মাথাব্যথার কারণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 4 =