বিমানবন্দরে অভিষেক-পত্নী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাধা! ইডি-র ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ মমতার

বিমানবন্দরে অভিষেক-পত্নী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাধা! ইডি-র ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ মমতার

রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব নিয়ে এবার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী! থাইল্যান্ড উড়ে যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে তাঁকে আটকানোর ঘটনাকে অমানবিক বলে উল্লেখ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার ২ সন্তানকে নিয়ে ব্যাঙ্কক উড়ে যাচ্ছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কলকাতা বিমানবন্দরে তাঁকে আটকায় অভিবাসন দফতর। রুজিরাকে বিমানে উঠতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ইডির আধিকারিকরা জানান, তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি রয়েছে। ফলে দেশের বাইরে যেতে পারবেন না তিনি। এর পরই রুজিরাকে ৮ জুন হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিস ধরান ইডির আধিকারিকরা।

যদিও, রুজিরার দাবি, আদালতে নির্দেশ মেনে ইডিকে আগাম তাঁর সফরের কথা তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও তাঁকে আটকানো হয়েছে। এই ঘটনাতেই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘটনাকে অমানবিক আখ্যা দিয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করার পাশাপাশি নাম না করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধেও সুর চড়ান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।

তৃণমূলের দাবি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে ইডি – সিবিআইকে ব্যবহার করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর পরিবারকে হয়রান করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর আগেও দিল্লিতে ইডির অফিসে ডেকে পাঠানো হয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেই সময় অভিষেক দিল্লিতে ইডির অফিসে গিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসারদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। কিন্তু রুজিরা দিল্লিতে যাননি। সোমবার বিদেশ যাওয়ার মুখে রুজিরাকে আটকানো এবং নোটিস ধরানোর ঘটনায় নতুন করে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। অন্যদিকে এদিন কয়লা পাচারকাণ্ডে রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আগামী ১৯ জুন তাঁকে দিল্লির দফতরে ডেকে পাঠিয়েছে ইডি।

সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো ইমেল করে তৃণমূল বিধায়কের সময় চেয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু পরপর দু’বার ইমেলের জবাব দেননি মন্ত্রী। অবশেষে তৃতীয়বার ইমেল করার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডিকে সময় দিয়েছেন মলয় ঘটক। কয়লা পাচার মামলায় মলয় ঘটককে ন’বার সমন পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাঁর বাড়ি, অফিসে তল্লাশিও চালিয়েছেন তদন্তকারীরা। সেইসময় বেশকিছু নথিপত্র সংগ্রহ করেছিল তাঁরা। কিন্তু ইডির অভিযোগ, বারবার হাজিরা এড়িয়েছেন মলয় ঘটক। এমনকী, রক্ষাকবচের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থও হয়েছিলেন। প্রাথমিকভাবে রক্ষাকবচ পেলেও পরে তাঁকে তদন্তে সহযোগিতার নির্দেশ দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। তবে আদালতের নির্দেশ ছিল, মলয়কে তলব করতে হলে, তাঁর সব কর্মসূচির কথা বিচার-বিবেচনা করে অন্তত ১৫ দিন আগে সমন পাঠাতে হবে। সেই নির্দেশ মোতাবেক হাতে সময় নিয়ে আইনমন্ত্রীকে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − nine =