‘কালীঘাটের কাকু’র সংস্থার ডিরেক্টার অভিষেকের বাবা-মা ও স্ত্রী! বিস্ফোরক টুইট শুভেন্দুর

‘কালীঘাটের কাকু’র সংস্থার ডিরেক্টার অভিষেকের বাবা-মা ও স্ত্রী! বিস্ফোরক টুইট শুভেন্দুর

 নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে দীর্ঘ ১২ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। মঙ্গলবার রাতে মামলায় তথ্য গোপন ও তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

এমন আবহে চমকে দেওয়া তথ্য দিলেন শুভেন্দু অধিকারী! টুইট করে বিস্ফোরক দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা। টুইটে শুভেন্দু লেখেন, ”অবশেষে আইনের লম্বা হাত মাস্টার মাইন্ড ও দুর্নীতির সবথেকে বড় সুবিধাভোগীদের কাছাকাছি পৌঁছে গেল। কেউ ছাড় পাবে না। মূল মাথা অবশ্যই জেলে যাবে। এখন তো শুধু সময়ের অপেক্ষা।”
 

এখানেই অবশ্য থেমে যাননি শুভেন্দু। ২টি ছবি শেয়ার করে তিনি দাবি করেছেন, কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র যে কোম্পানির হয়ে কাজ করতেন সেই লিপস অ্যান্ড বাউন্স প্রাইভেট লিমিটেড-এর ডিরেক্টরদের মধ্যে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র ছাড়াও নাম রয়েছে বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য, রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়, অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়, লতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সংস্থার ডিরেক্টরস বোর্ডের একটি তালিকা টুইট করে এই দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। 
  
সূত্রের খবর, লিপস অ্যান্ড বাউন্স প্রাইভেট লিমিটেড-এ একসময়ে এমডি পোস্টে ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সূত্রেই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র সংবাদমাধ্যমে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তাঁকে সাহেব বলে উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু, লোকসভা ভোটে প্রার্থী হওয়ার আগে এই কোম্পানির পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। 

টুইটে শুভেন্দুর দাবি, নিউ আলিপুর স্থিত এই সংস্থার মাথায় রয়েছেন অভিষেকের বাবা-মা এবং স্ত্রী। সেই সংস্থাতেই ডিরেক্টর পদে ছিলেন কালীঘাটের কাকু। অর্থাৎ দুর্নীতির সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরাসরি যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা। 

মঙ্গলবার শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ‘কালীঘাটের কাকু’র ভূমিকা জানতে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করে ইডি। দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা ধরে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ধৃত তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষের মুখে প্রথম উঠে এসেছিল ‘কালীঘাটের কাকু’র নাম। পরে গোপাল দলপতির মুখেও একই ব্যক্তির নাম শোনা যায়। তারপরই ইডি আধিকারিকরা তল্লাশি অভিযান চালায় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বাড়িতে। গত ২০ মে কালীঘাটের কাকুর বেহালার ফকিরপাড়া রোডের ফ্ল্যাট, বাড়ি, অফিস-সহ বহু জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি। অভিযানে বেশ কিছু নথি এবং তথ্য হাতে আসে গোয়েন্দাদের। তাঁর দুটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়।

তিনটি কোম্পানির সঙ্গে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের যোগাযোগের কথা সামনে আসে। তারই মধ্যে একটি হল লিপস অ্যান্ড বাউন্স প্রাইভেট লিমিটেড। এই সংস্থাগুলির সঙ্গে কী সপম্পর্ক রয়েছে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের ?  ম্যারাথন জেরায় সেই উত্তর জানতে চান ইডি-র তদন্তকারীরা। উত্তরে সন্তুষ্ট না হওয়ায় তাঁকে শেষমেশ গ্রেফতার করে ইডি। 

তদন্তকারিদের অনুমান, বেআইনি পথে এইসব কোম্পানির মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করেছেন কালীঘাটের কাকু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

9 − 7 =