কৃষ্ণনগর: চতুর্থ দফার ভোটে শীলকুচি নিয়ে উত্তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি৷ কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারানো চার ব্যক্তি আর প্রথম বার ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে প্রাণ বিসর্জন দেওয়া আনন্দ বর্মনের মৃত্যুতে শোকের ছায়া৷ কিন্তু এর পরেও শীতলকুচি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে রাহুল সিংহা, দিলীপ ঘোষদের৷ যা নিয়ে ফেরে বিতর্কের ঝড় ওঠে৷ এদিন কৃষ্ণনগর উত্তরের তারকা প্রার্থী কৌশানী মুখোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচারে গিয়ে শীতলকুচি নিয়ে সরব হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷
আরও পড়ুন- বিজেপির জন্যই রাজ্যে বাড়ছে করোনা! তোপ দাগলেন ‘কেষ্ট’
এদিন তৃণমূল সাংসদ বলেন, চতুর্থ দফার ভোটে শীতলকুচিতে পাঁচ জন বাঙালিতে গুলি করে মারা হল৷ তাঁদের অপরাধ কী ছিল জানেন? তাঁরা বাংলা মায়ের সন্তান৷ তাঁরা বাংলার মাটিতে জন্মেছিল৷ তাঁরা দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশের কাছে বশ্যতা স্বীকার করেনি৷ তাঁরা মধ্যপ্রদেশের নেতাদের কাছে মাথা নত করেনি৷ তাঁর কথায়, বিজেপি বাঙালির রক্তে বাঙালিকে মেরে বাংলা দখল করতে এসেছে৷ গায়ের জোড়ে, বন্দুকের জোড়ে বাংলা দখল করতে চাইছে৷ বাংলার মানুষকে এই বুলেটের জবাব ব্যালটে দিতে হবে৷ বিশ্বাসঘাতকদের পরাজিত করতে হবে৷ তবে শীতলকুচির ঘটনার জন্য মোদী-শাহ থেকে বঙ্গ বিজেপি’র নেতারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেই দায়ী করেছে৷ তাঁদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উস্কানিমূলক মন্তব্যের জেরেই রক্তাক্ত হয়েছে শীতলকুচি৷
আরও পড়ুন- নেত্রী আসার কথা ছিল, করোনা আবহে সভা বন্ধ রাখলেন শোভনদেব
অন্যদিকে, সিআইএসএফ-এর বক্তব্য আত্মরক্ষার্থেই তারা সেদিন গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছিল৷ কিন্তু প্রশ্ন হল আত্মরক্ষার্থেই যদি গুলি চালাতে হয় তাহলে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে কেন গুলি চালানো হল? কেন হাত-পা লক্ষ্য করে গুলি চালানো হল না? শুঘু তাই নয়, রাহুল সিনহা বলেন, চারজন নয়, আট জনকে মারা উচিত ছিল৷ আবার দিলীপ ঘোষ বলেন, রাজ্যে আরও শীতলকুচি হবে৷ যা নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বঙ্গ রাজনীতি৷ ৪৮ ঘণ্টার জন্য রাহুল সিনহার প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়৷ নোটিশ পাঠানো হয় দিলীপ ঘোষকে৷