কলকাতা: একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও-এর ডাক দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিরুদ্ধে হেয়ার স্ট্রিট থানায় এফআইআর দায়ের করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এই পদক্ষেপ করতেই তাঁকে পালটা শুভেচ্ছা জানালেন ডামন্ডহারবারের সাংসদ। রবিবার দিল্লি যাওয়ার সময় বিমানবন্দরে সাংবাদিকরা তাঁকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে অভিষেকের সংক্ষিপ্ত জবাব- শুভেচ্ছা রইল।
গত শুক্রবার ২১ জুলাই ধর্মতলায় ছিল তৃণমূলের শহিদ দিবসের অনুষ্ঠান৷ একুশের মঞ্চে বক্তব্য রাখতে উঠে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আগামী ৫ অগাস্ট কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ যত বিজেপি নেতা, কর্মী আছেন, তাঁদের সকলের বাড়ি ঘেরাও অভিযান করবেন তৃণমূল কর্মীরা। ব্লক স্তর থেকে বুথ স্তর পর্যন্ত, ছোট, বড়, মেজো সব বিজেপি নেতার বাড়ি ঘেরাও করতে হবে৷ যদিও মঞ্চে বক্তব্য রাখতে উঠে সেই কর্মসূচি কিছুটা হালকা করে দেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানান, “অভিষেক যে কর্মসূচির কথা বলেছে, সেটা আমি বলব, শুধু ব্লক স্তরেই করো। বিজেপি নেতাদের বাড়ি থেকে অন্তত ১০০ মিটার দূরে প্রতীকি ঘেরাও কর। যাতে কারও যাতায়াতে অসুবিধা না হয়৷ যাতে কেউ বলতে না পারে যে ওঁদের হেনস্তা করা হয়েছে।” তৃণমূল সুপ্রমো স্পষ্ট করে দেন যে, ‘‘ওটা প্রতীকী ঘেরাও হোক।’’
যদিও তৃণমূলের এই কর্মসূচির বিরুদ্ধে শুভেন্দু অধিকারী রবিবার হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ এনেছেন৷ তাঁদের বিরুদ্ধে ‘ঘৃণা ভাষণ’-এর অভিযোগ তুলে শুভেন্দুর বক্তব্য, বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচি বিপজ্জনক৷ এতে প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। তাই দলনেত্রী ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক– দু’জনের বিরুদ্ধেই কঠোর পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। রবিবার বিকেলে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তার আগে দমদম বিমানবন্দরে শুভেন্দুর পদক্ষেপ নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে অভিষেক শুধু বলেন– শুভেচ্ছা রইল। অর্থাৎ ফআইআর দায়ের করে যে তাঁর ঘোষিত কর্মসূচিকে রোখা যাবে না৷