হঠাৎ মামা বাড়িতে অভিষেক, দেখা করলেন দাদুর সঙ্গে, সারলেন জনসংযোগ

হঠাৎ মামা বাড়িতে অভিষেক, দেখা করলেন দাদুর সঙ্গে, সারলেন জনসংযোগ

কুসুম্বা: রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে তৃণমূলের নব জোয়ার৷ তারই অঙ্গ হিসাবে জনসংযোগ যাত্রা শুরু করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ জেলায় জেলায় ঘুরছেন তিনি৷ টানা দু’মাস পথেই কাটবে তাঁর৷ ব্যস্ত কর্মসূচির মাঝেই মামাবাড়িতে ঘুরে এলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক৷ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুসুম্বায় মামাবাড়িতে গিয়ে সকলের সঙ্গে দেখা করলেন তিনি৷ দাদুর পা ছুঁয়ে নিলেন আশীর্বাদ৷ তাতেই যেন তাঁর ক্লান্তি উধাও৷ বেশ কিছুক্ষণ সেখানে ছিলেন অভিষেক৷ সকলের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন৷ গ্রামের সাধারণ মানুষের সঙ্গেও দেখা করে কথা বলেন অভিষেক৷ গ্রামের উন্নয়ন পরিস্থিতি নিজের চোখে  খতিয়ে দেখেন তিনি৷

মঙ্গলবার জনসংযোগের ১৫ তম দিনে বীরভূমের কুসুম্বায় নিজের মাতুলালয়ে পৌঁছন অভিষেক৷  দাদু অনিল মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান তিনি৷ মামাবাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে তিনি বলেন, ‘‘দাদুর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। দাদুর শরীর খুব খারাপ। অনেকদিন ধরেই আসবো, আসবো ভাবছিলাম। আমি দশ বছর পর এখানে এলাম। আগে যখন আসতাম ছোটবেলায় তখন রাস্তাঘাটের কী অবস্থা ছিল, আর এখন কি হয়েছে আপনারা দেখেছেন। সরকারের জনমুখী প্রকল্প সব জায়গায় পৌঁছাচ্ছে।’’

পাশাপাশিএর পর গোটা এলাকা ঘুরে দেখেন তৃণমূল সাংসদ৷ স্থানীয় স্কুল, রাস্তা ঘাটের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর বলেন, ‘‘ছোটবেলায় এখানে এসেছি। তখন কুসুম্বা স্কুলের যে অবস্থা ছিল আর এখন দেখুন কী রকম আছে।’’ এদিন রাত দশটা নাগাদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রামপুরহাটের কুসুম্বার নিজের মামার বাড়িতে এসে পৌঁছান। হঠাৎ করেই চলে আসেন তিনি। দাদুকে প্রয়োজনে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার কথাও বলেন। পরে অভিষেকের মামিমা পম্পা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘উনি নিজে থেকেই খবর নিয়েছেন গ্রাম কেমন আছে, স্কুলগুলি কেমন আছে।” এর পর জনসংযোগে বেরিয়ে তিনি কথা বলেন স্থানীয় মানুষের সঙ্গে৷ তাঁদের অভাব অভিযোগ মন দিয়ে শোনেন৷ 

পরে মামাবাড়ির ছবি পোস্ট করে অভিষেক লেখেন, ‘‘কর্মযজ্ঞের আজ ২৫তম দিন৷ সাধারণ মানুষের মাঝে নিডেকে বিলিয়ে দিয়েছি আদ্যোপান্ত৷ তারই মধ্যে কিছুটা সময় কাটালাম নিডের মামার বাড়িতে৷ আজ সেখানে গেলাম প্রায় ১০ বছর পর৷ কুসুম্বার আমার আপন মাতামহ অনিল মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে ছুটে গেলাম তাঁর ভিটেয়৷ মন ভালো, মন খারাপ- এই সব যে আপেক্ষিক, তা আজ পুরনায় বুঝলাম৷ সারা দিনের অফুরান ব্যস্ততার মাঝেও, নিজের দাদুর সঙ্গে সময় কাটিয়ে সব ক্লান্তি যে নিমেষে দূর হয়ে গেল৷ সারা দিনের অগুনতি মানুষের আশীর্বাদ, ভালোবাসার পর এই সময়টুকু সত্যিই বিশেষ পাওয়া৷ ঈশ্বর সকলকে ভালো রাখুন, সুস্থ রাখুন এই প্রার্থনা করি৷’’