সাতগাছিয়া: হাইভোল্টেজ রবিবারে সাতগাছিয়া জনসভা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই জনসভা থেকে বিজেপির একাধিক নেতাকে প্রত্যক্ষ ভাবে আক্রমণ করলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয় সহ একাধিক বিজেপি নেতার নাম করে তাদের কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তিনি। অভিষেকের বক্তব্য, সবাই এখন ভাইপো বলে, কিন্তু তাঁর নাম নেওয়ার সাহস কেউ পায় না।
অভিষেকে এদিন বলেন, বিজেপির নেতারা একটাই কথা বলে, শুধু ভাইপো ভাইপো বলে যায়। কিন্তু তাদের কারুর সাহস নেই তাঁর নাম নেওয়ার। এই প্রেক্ষিতে অভিষেক জোর গলায় বলেন, তিনি বিজেপির প্রত্যেক নেতার নাম নিয়ে বলতে পারেন তাঁরা বহিরাগত। কিন্তু কাদের তার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতা নেই, সাহস নেই। এই প্রসঙ্গে অভিষেক মনে করিয়ে দেন, মুকুল রায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান দেওয়ার পরেই ধর্মতলা জনসভা করে তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছিলেন। বিশ্ব বাংলার মালিকানা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অভিষেক দাবি করেছেন, মুকুল রায় অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি নাকি বিশ্ব বাংলার মালিক, কিন্তু তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করে তিনি জিতেছেন। এরপর বিজেপির একাধিক নেতা তাদের প্রত্যেক জনসভায় পরোক্ষে ‘ভাইপো’ নাম নিয়ে তাকে আক্রমণ করেছেন। কিন্তু সরাসরি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলার সাহস দেখাননি। এই প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, বিজেপির নেতাদের বুকের পাটা নেই নাম নিয়ে আক্রমণ করার, সেই কারণেই পরোক্ষ আক্রমণ করে। কিন্তু তিনি নাম নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারেন, কারণ তার সেই ক্ষমতা আছে তাদের বিরোধিতায় প্রমাণ তুলে ধরার।
এই জনসভায় থেকেই নাম করে দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়দের বহিরাগত, গুন্ডা বলে তোপ দেগেছেন অভিষেক। একইসঙ্গে বলেন, তিনি বিজেপি নেতাদের মতো ভাওতাবাজ নন, বিজেপি যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা একটাও পালন করেনি, কিন্তু তিনি প্রতিশ্রুতি দেন তা পালন করেন। একইসঙ্গে সভার শুরুতে দাবি করেন, আজ ডায়মন্ড হারবারের এই সভা থেকেই একুশের নির্বাচনে লড়াই শুরু হলো। মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে এই সেই লড়াইয়ে শুরু করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।