দুই রাজ্যে জয় নিশ্চিত! যেখানে BJP সেখানেই যাবে তৃণমূল, হুঙ্কার অভিষেকের

দুই রাজ্যে জয় নিশ্চিত! যেখানে BJP সেখানেই যাবে তৃণমূল, হুঙ্কার অভিষেকের

গোসাবা:  গোসাবায় ভোট প্রচারে গিয়ে রণংদেহী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তুলোধোনা করলেন বিজেপি’কে৷ তাঁর হুঙ্কার, বিজেপি’কে যদি কেউ পরাজিত করতে পারে, তাহলে একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

আরও পড়ুন- পেট্রোল-ডিজেল তো আগে ‘সেঞ্চুরি’ করল, সেটা নিয়ে বলুন! খোঁচা অভিষেকের

এদিন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গোয়ায় তৃণমূল কংগ্রেস গিয়েছে৷ আগামী তিন মাসের মধ্যে সে রাজ্যে তৃণমূল বিজেপি’কে হারিয়ে উন্নয়নমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করবে৷’ তবে শুধু গোয়া নয়৷ তণমূলের লক্ষ্য ত্রিপুরাও৷ অভিষেক বলেন, ‘ ত্রিপুরায় বিপ্লব দেবের যত শক্তি আছে ক্ষমতা আছে প্রয়োগ করুন৷ আগামী দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি আর তৃণমূল কংগ্রেসের আন্দোলন আর ইতিহাসের আদর্শ নিয়ে ত্রিপুরায় ঢুকব৷’ ত্রিপুরা থেকে বিজেপি’কে উচ্ছেদ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সে রাজ্য সরকার গঠন করার হুঙ্কারও দেন তিনি৷ 

অভিষেক জানিয়ে দেন, ত্রিপুরার পাশাপাশি অন্যান্য রাজ্যেও যাবে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ তাঁর হুঙ্কার, ‘যেখানেই বিজেপি গণতন্ত্রকে লুন্ঠিত করেছে, মানুষের স্বাধীনতা হরণ করেছে, যে রাজ্যে উন্নয়ন বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে, আমরা সেই রাজ্যেই যাব৷ ক্ষমতা থাকলে বিজেপি তৃণমূল কংগ্রেসকে আটকে দেখাক৷’’ অভিষেক বলেন, ‘ভারতবর্ষে প্রায় ১৭০০টি রাজনৈতিক দল রয়েছে৷ তার মধ্যে রাষ্ট্রীয় দলের মর্যাদা পেয়েছে মাত্র চার থেকে পাঁচটি দল৷ ভারতীয় জনতা পার্টি, জাতীয় কংগ্রেস, সিপিআইএম, শরদ পাওয়ারের ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি আর একটা কালীঘাটে টালির ছাদে হাওয়াই চটি পরা মহিলার দল তৃণমূল কংগ্রেস৷’ কিন্তু কেন্দ্রের সরকার প্রতিটি রাজনৈতিক দলকেই ধমকে চমকে সিবিআই-ইডি দেখিয়ে রেখেছেন বলেও খোঁচা 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 + eighteen =

‘২ মে পদ্মফুল চোখে সর্ষেফুল দেখবে’, কটাক্ষ অভিষেকের

‘২ মে পদ্মফুল চোখে সর্ষেফুল দেখবে’, কটাক্ষ অভিষেকের

বিনপুর: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য রাজনীতিতে জারি আক্রমণ প্রতি-আক্রমণের খেলা। মহারণের সেই দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হ্যাটট্রিকের জন্য যে মরিয়া ঘাসফুল শিবির, এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য থেকে আরো একবার পরিষ্কার হল সেই কথা। বিনপুরের দলীয় জনসভা থেকে বিজেপিকে আরো একবার তীব্র কটাক্ষে বিদ্ধ করলেন তিনি।

আগামী ২ মে ভোটের ফল ঘোষণার পর চোখে সর্ষেফুল দেখবে পদ্মফুল, এদিন এমনটাই মন্তব্য করেছেন ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মতে বিজেপির কাউকেই আর খুঁজে পাওয়া যাবে না মে মাসের পর থেকে। ২০১৯ সালে জঙ্গলমহল ঝাড়গ্রাম আর পুরুলিয়ার মতো জায়গায় মানুষকে ভুল বুঝিয়েই যে গত লোকসভা নির্বাচনে সাফল্য এসেছিল গেরুয়া শিবিরে, এদিন তাও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ঘাসফুল নেতা।

বিজেপির বিরুদ্ধে আগামী নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের সবথেকে বড় হাতিয়ার উন্নয়নই, বিনপুরের জনসভা থেকে বারবার জোর গলায় তেমনটাই জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, “বিজেপি নিজেকে সর্ববৃহৎ দল বলে, একটা সর্ববৃহৎ দলকে ল্যাজেগোবরে করে দিচ্ছে আঞ্চলিক দল।” যদিও তৃণমূল কংগ্রেসকে বর্তমানে সর্বভারতীয় রাজনৈতিক দলের স্বীকৃতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্য সাথী, সবুজ সাথীর মতো রাজ্য সরকারি প্রকল্পের উল্লেখ করেও এদিন বিজেপিকে এক হাত নিয়েছেন ঘাসফুল সাংসদ। তাঁর কথায়, “ওরা বলছে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ভাওতা। আর দিলীপ ঘোষের বাড়ির দাদা বউদি স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করিয়ে বলছে মমতা ব্যানার্জি জিন্দাবাদ।”

এখানেই শেষ নয়, ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দুবছরে জেলায় জেলায় বিজেপি সাংসদরা কি উন্নয়ন করেছেন সে প্রশ্নও এদিন তোলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলায় জেলায় প্রার্থী ক্ষোভে জেরবার গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করতেও ভোলেননি তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − thirteen =