abhishek banerjee
কলকাতা: আজ, বুধবার দিল্লিতে রয়েছে বিজেপি-বিরোধী জোটের ‘সমন্বয় কমিটি’র বৈঠক৷ এদিকে, আজই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছে ইডি৷ সেই তলবে সাড়া দিয়ে সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক৷ মৌখিক রক্ষাকবচ নিয়েই ইডি-র মুখোমুখি অভিষেক৷ তাঁর জন্য আগে থেকেই প্রশ্নমালা তৈরি করে রেখেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা৷
সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ও তাপস মণ্ডলের বয়ানের ওপর ভিত্তি করেই অভিষেকের জন্য প্রশ্নমালা তৈরি করা হয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, তাপস মণ্ডল তাঁর বয়ানে ইডিকে জানিয়েছিলেন, কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ছিলেন অভিষেকের বার্তাবাহক৷ তিনি অভিষেকের বার্তা নিয়ে পৌঁছে যেতেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের কাছে। এর পাশাপাশি লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস কোম্পানির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়েও প্রশ্ন করা হতে পারে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে৷
এর আগে প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে ইডির তরফে দাবি করা হয়েছিল, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সিইও ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সংস্থার বিষয়ে এবং কালীঘাটের কাকুর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কে নিয়েও আজ প্রশ্ন করতে পারেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ইডি-র দাবি, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অন্যতম মাথা ছিলেন সুজয়। অভিষেকই তাঁর সাহেব, জেলে যাওয়ার এমনটাই আগে দাবি করেছিলেন কালীঘাটের কাকু। কিন্তু, এই সুজয়ের সঙ্গে কীভাবে যোগাযেগ হয়েছিল তাঁর? তিনি সুজকে কতটা চিনতেন? লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থায় প্রকৃতপক্ষে কী কাজ করতেন সুজয়? এই সব প্রশ্ন জানতে চাওয়া হতে পারে৷ জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসতে পারে কুন্তল ঘোষের চিঠির প্রসঙ্গও। প্রয়োজন চিঠি নিয়েও অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে ইডি৷
তবে ইডি-র দফতরে হাজিরা দেওয়ায় বুধবার ইন্ডিয়া জোটের সমন্বয় কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে পারলেন না অভিষেক৷ মঙ্গলবার বিকেলে এ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং পার্থ ভৌমিক। পার্থ বলেন, “আসলে অভিষেকের শিরদাঁড়াটা সোজা, শুভেন্দুর মতো উনি শিরদাঁড়া বিক্রি করেননি।’’
ইডি-র তলবের কথা নিজেও জানিয়েছিলেন অভিষেক। রবিবার টুইট করে লেখেন, ‘‘দিল্লিতে ইন্ডিয়ার সমন্বয় কমিটির প্রথম বৈঠক হবে ১৩ সেপ্টেম্বর, যে কমিটিতে আমিও এক জন সদস্য। কিন্তু ইডি ওই দিনই আমাকে হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিস দিয়েছে! এই মাত্র সেই নোটিস পেলাম। ৫৬ ইঞ্চি ছাতির কাপুরুষতা ও অন্তঃসারশূন্যতা দেখে আমি বিস্মিত৷’’
বুধবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আসার আগেই গোটা সিজিও কমপ্লেক্সে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়৷ মোতায়েন করা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীও। হাজির রয়েছে বম্ব স্কোয়াড, স্নিফার ডগ৷ সিজিও কমপ্লেক্সের কর্মী ছাড়া কাউকেই ভিতরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়নি। গেটের বাইরেও সাদা পোশাকের পুলিশে ছয়লাপ৷