কলকাতা: চিকিৎসার জন্য সস্ত্রীক বিদেশে গিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এর আগে বারবার চেষ্টা করেও বিদেশে যেতে পারেননি অভিষেক-পত্নী রুজিরা৷ কীসের ভিত্তিতে তাঁদের বিদেশে যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, সোমবার সেই প্রশ্ন তুলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। আদালত স্পষ্ট জানিয়েছিল, কোনও অভিযুক্তর গা-ঢাকা দেওয়ার আশঙ্কা না থাকলে, তাঁর বিদেশে যাওয়ার অধিকার রয়েছে। বিশেষত চিকিৎসাজনিত কারণে তিনি বিদেশ যাত্রা করতেই পারেন৷ তবে তৃণমূল সাংসদের বিদেশযাত্রা নিয়ে চূড়ান্ত নির্দেশ দেয়নি সর্বোচ্চ আদালত। এই সংক্রান্ত আবেদনেরও নিষ্পত্তি হয়নি৷ এই পরিস্থিতিতে বুধবার রাতে সস্ত্রীক অভিষেকের বিদেশ যাত্রা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে৷ এর জবাবে তাঁর আইনজীবীর দাবি, প্রয়োজন না থাকলেও সংশ্লিষ্ট সমস্ত কর্তৃপক্ষকে জানিয়েই চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়েছেন অভিষেক। তবে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি।
এদিকে, এই ঘটনায় কেন্দ্র ও রাজ্যের দুই শাসক দলের মধ্যে ‘বোঝাপড়া’র তত্ত্ব তুলে ধরতে মরিয়া সিপিএম ও কংগ্রেস। বিজেপির অবশ্য বক্তব্য, কেউ পালিয়ে বাঁচতে পারবে না। আইনের পথেই তদন্ত হচ্ছে৷ অন্যদিকে তৃণমূলের বক্তব্য, আইনি বাধা নেই বলেই অভিষেক দেশ ছাড়তে পেরেছেন৷ তা সত্ত্বেও কুরুচিকর প্রচার চালাচ্ছেন বিরোধীরা। এ বিষয়ে অভিষেকের আইনজীবী সঞ্জয় বসুর বক্তব্য, ‘‘অভিষেক চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়েছেন। এটি তাঁর মৌলিক অধিকার। প্রয়োজন না থাকলেও তিনি বিদেশযাত্রার কথা সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে আগাম জানিয়েছেন। তাঁর বিদেশযাত্রার অধিকার সুপ্রিম কোর্ট এবং কলকাতা হাই কোর্টে স্বীকৃতি পেয়েছে।’’
তবে মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার আগে কী ভাবে তিনি বিদেশ যাত্রার ‘অনুমতি’ পেলেন, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই খোঁচা দিতে শুরু করেছেন রাজ্যের কংগ্রেস এবং সিপিএম নেতারা। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর অভিযোগ, ‘‘আদালতে এখনও ওঁর আবেদনের নিষ্পত্তি হয়নি। এরই মধ্যে গোপনে দুবাই চলে গেলেন? ইডি-র মতো কেন্দ্রীয় সংস্থা হয় কিছু টের পেল না, নয়তো তারা সম্মতি দিয়ে দিল। তার মানে, আদালতের রক্ষাকবচ ‘ভাইপো’ পান বা না-পান, মোদীর রক্ষাকবচ তিনি পেয়েছেন। এর থেকেই স্পষ্ট যে, সেটিং রয়েছে। ইডি, সিবিআই, অভিবাসন সবাই চুপ!’’