পুজো কমিটিগুলিকে ৫০ হাজারের অনুদান, মমতা সরকারকে সমর্থন নোবেলজয়ী বাঙালির

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে ৫০,০০০ টাকার অনুদান দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল সরকার।

b80b4bd49a46fb7d1ad3445aab1ab9a7

কলকাতা: করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে ৫০,০০০ টাকার অনুদান দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল সরকার। স্বাভাবিকভাবে এই সিদ্ধান্তে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিরোধীরা ইতিমধ্যেই কটাক্ষ করা শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে। কিন্তু, বাংলার সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন নোবেলজয়ী বাঙালি অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিকভাবেই অভিজিৎ-র সমর্থনে এই বিষয়ের তাৎপর্যতা বেড়েছে।

কেন তিনি দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে টাকা দেওয়ার সমর্থন করলেন, এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন, এ বছরের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা। ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য পুজো উদ্যোক্তাদের একাধিক নিয়মবিধি মানতে হবে। প্রত্যেক মন্ডপে সুরক্ষিত প্রটোকল মেনে কাজ করতে হবে। সেই কারণে বাড়তি খরচ হবে পুজো কমিটিগুলির। তাই স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য সরকারের অনুদান কাজে লাগবে। রাজ্য সরকার অনুদান হিসেবে পুজো কমিটিগুলিকে যে টাকা দেবে, সেই টাকায় সবরকম বাড়তি খরচ করতে পারবে পুজো উদ্যোক্তারা। এই কারণেই নোবেলজয়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন বলে জানিয়েছেন।

আনলক পর্বে বাংলায় দুর্গাপুজোর অনুমতি দিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তবে সমস্ত প্যান্ডেলে আলাদা নিয়ম মানতে হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। মাস্ক ব্যবহার থেকে শুরু করে, স্যানিটাইজার রাখা, সামাজিক দূরত্ব পালনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলি মেনে চলতে হবে বিভিন্ন মণ্ডপে, এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সরকারের তরফে। এছাড়াও, সামাজিক দূরত্ব বৃদ্ধি যেন কোনোভাবেই লংঘন করা না হয় সেদিকে বাড়তি নজরদারি দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। যদিও এখন কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে রাজ্যের সমস্ত পূজো মণ্ডপ নো এন্ট্রি জোনে পরিণত হয়েছে। ভাইরাস পরিস্থিতিতে হাইকোর্ট রায় দিয়েছে, সব পূজো মন্ডপ কনটেইনমেন্ট জোন। এমনকি মন্ডপের বাইরে বেশ কিছুটা অংশ ব্যারিকেড করে রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে। মণ্ডপে প্রবেশাধিকার সকলের থাকছে না পাড়ার বাসিন্দা এবং পুজো কমিটির সদস্যরা ছাড়া। এককথায় এবার দর্শকহীন পুজো মন্ডপ দেখবে শহর তথা রাজ্য।

উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে, প্রত্যেকটি পুজো কমিটির জন্য ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে মোট ৩৬হাজার ৯৪৬টি পুজো কমিউনিটি রয়েছে। মহামারীর মধ্যে পুজোর জন্য ক্লাবগুলিকে বিপুল অনুদান দেওয়া নিয়ে সমালোচনার ঝড় তুলেছেন বিরোধিরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *