চুঁচুড়া: একুশের বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বঙ্গ রাজনীতিতে জারি তরজা। শাসকদলের সঙ্গে বিরোধী শিবিরের সংঘাত যেন ক্রমেই উত্তপ্ত করে তুলছে বাংলার পরিস্থিতি। সেই রাজনৈতিক বিবাদের আবহে এবার নতুন দল তৈরির দিন ঘোষণা করলেন আব্বাস সিদ্দিকি।
ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির উত্থান একুশের নির্বাচনের আবহে বঙ্গ রাজনীতিতে যোগ করেছে আলাদা মাত্রা। গত মাসেই সম্পূর্ণ নতুন একটি দল গঠন করার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু নানা কারণে তা পিছিয়ে যায়। তবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নিয়ে বাংলায় একটি সম্পূর্ণ নতুন দল যে তিনি গঠন করবেন, তা কার্যত নিশ্চিত ছিল। কথা মতো এবার সেই দল গড়ার আনুষ্ঠানিক দিন ঘোষণা করলেন তিনি।
জানা গেছে, আগামী ২১ জানুয়ারি নতুন দল ঘোষণা করবেন আব্বাস সিদ্দিকি। শুক্রবারই সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে নতুন দল ঘোষণার দিনটি সকলকে জানান তিনি। তিনি জানান, রাজ্যের দলিত, মুসলমান, তথা পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের কমবেশি ১০টি দল একত্রিত করে তিনি সংখ্যালঘুদের একটি দল গড়ে তুলবেন, যে দল পশ্চিমবঙ্গে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে লড়বে বাকিদের সঙ্গে।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের ২৯৪টি আসনের প্রতিটিতেই তাঁর দল প্রার্থী দেবে, এমনটাই জানিয়েছেন আব্বাস সিদ্দিকি। সম্প্রতি রাজ্যে প্রাক-নির্বাচনী সফরে এসেছিলেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-এ-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (AIMIM) বা মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। তিনিও রাজ্যে বিধানসভায় প্রার্থী দেবেন বলে জানিয়েছিলেন। রাজ্য সফরে এসে আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে বৈঠকের পর মিম প্রধান জানান, তাঁর দল সিদ্দিকির সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখেই চলবে। রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোটের এই পৃথকীকরণ একুশের নির্বাচনের আগে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাসহ রাজ্যের একাধিক জেলায় মিমের কমপক্ষে ১০ লাখের বেশি সদস্য রয়েছে। তাছাড়া আব্বাস সিদ্দিকির সমর্থকের সংখ্যাটাও নেহাত কম নয়। এমতাবস্থায়, তাঁরা যদি বঙ্গ রাজনীতিতে হাত মেলান, তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর শাসক শিবিরের পক্ষে তা যে মোটেই স্বস্তির হবে না, তা বলাই বাহুল্য।