হৈমন্তীর ফ্ল্যাটের বাইরে থেকে উদ্ধার রোল নম্বর লেখা কাগজ! বাড়ছে জল্পনা

হৈমন্তীর ফ্ল্যাটের বাইরে থেকে উদ্ধার রোল নম্বর লেখা কাগজ! বাড়ছে জল্পনা

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি চক্রে রহস্যময়ী চরিত্র এখন হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়৷ তিনি কি সত্যই নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত? সেই প্রশ্নের খোঁজে নেমে পড়েছেন কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দারা৷ শনিবার সকালে হৈমন্তীর বেহালার ফ্ল্যাট থেকে খানিক দূরে নোংরার স্তূপ থেকে বেশ কিছু কাগজ, পুরনো ফাইল উদ্ধার হয়েছে। ওই কাগজের মধ্যে দু’টি কাগজে রয়েছে গুচ্ছ সংখ্যার তালিকা৷ মনে করা হচ্ছে, ওই সংখ্যাগুলি চাকরিপ্রার্থীদের রোল নম্বর। কারণ, ওই কাগজে থাকা তালিকার তিনটি সংখ্যার সঙ্গে ২০১৪ সালের তিন টেট প্রার্থীর রোল নম্বরের হুবহু মিল রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে বিষয়টি কাকতালীয় মনে হলেও, আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ওই রোল নম্বর যাঁদের, তাঁরা ইতিমধ্যেই স্কুলে চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ২০২২ সালের শেষে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ টেটপ্রার্থীদের নম্বরের যে ‘ব্রেকআপ’ প্রকাশ করেছিল, সেখানেও ওই রোল নম্বর রয়েছে। ফলে এই দুইয়ের মধ্যে কোনও যোগসূত্র থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷ 

আরও পড়ুন- কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিতের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি-বোমা! তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে ধুন্ধুমার দিনহাটায়

নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে আগেই নাম জড়িয়েছে তাপস মণ্ডল ঘনিষ্ঠ গোপাল দলপতির। সম্প্রতি কুন্তল ঘোষের মুখে উছে আসে হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম৷ এই হৈমন্তী হলেন গোপালের দ্বিতীয় ‘স্ত্রী’৷ তাঁর বাড়ির সামনে থেকেই শনিবার বেশ কিছু কাগজ মিলেছে। তার মধ্যে দু’টি কাগজে নয় অঙ্কের একাধিক সংখ্যা লেখা রয়েছে। সাধারণত যে কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রে নয় অঙ্কের রোল নম্বর ব্যবহার করা হয়।

২০২০ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল পর্ষদ৷ ২০২১ সালে প্রাথমিক শিক্ষকের ১৬ হাজার ৫০০ শূন্যপদের জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। ২০১৪ এবং ২০১৬ সালে যাঁরা টেট পাশ করেছিলেন, ২০২১-এ সেই প্রার্থীদেরই নিয়োগ দেওয়া হয়৷। ওই বছরই  তাঁদের ইন্টারভিউ হয়। ২০১৪ সালে যাঁরা টেট পাশ করেছিলেন, কিছু দিন আগে ২০২২ সালে তাঁদের নম্বরের ব্রেক আপ (লেখা এবং ইন্টারভিউয়ে কত পেয়েছেন) প্রকাশ করে পর্ষদ। সেই তালিকা থেকেও দেখা যাচ্ছে, তিন প্রার্থীর রোল নম্বর হুবহু মিলে যাচ্ছে হৈমন্তীর ফ্ল্যাটের অদূরে জঞ্জালের স্তুপ থেকে উদ্ধার হওয়া কাগজপত্র থেকে।