তিন মাসেই হাজার ইন্টারভিউ সারা, চলছে ২ হাজার সহকারী অধ্যাপক নিয়োগের পরীক্ষা

তিন মাসেই হাজার ইন্টারভিউ সারা, চলছে ২ হাজার সহকারী অধ্যাপক নিয়োগের পরীক্ষা

কলকাতা: কোভিড পরিস্থিতিতে বিধি মেনেই শুরু হয়েছে সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া৷ চলছে ইন্টারভিউ৷ গত জানুয়ারি মাস থেকে এখনও পর্যন্ত এক হাজার প্রার্থীর ইন্টারভিউ সম্পন্ন করেছে কলেড সার্ভিস কমিশন৷ 

অন্যদিকে, খুব শীঘ্রই প্রকাশ করা হবে গবেষণা এবং কলেজ শিক্ষক পদে আবেদনের যোগ্যতা পরীক্ষা স্টেট এলিজিবিলিটি টেস্ট (সেট)-এর ফলাফল৷ ইউজিসির ছাড়পত্র দিলেই এপ্রিলের শেষে ফলপ্রকাশ করা হবে। এরই মাঝে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এই গতিতে আশার আলো দেখছেন চাকরিপ্রার্থীরা৷ কলেজ সার্ভিস কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে,  সাধারণত দিনে পাঁচটি করে ইন্টারভিউ বোর্ড সচল রাখা হয়৷ কিন্তু কোভিড পরিস্থিতিতে দিনে মাত্র দু’টি বোর্ড রাখা হয়েছে। তার উপর আচমকা সংক্রমণ বৃদ্ধির জেরে নতুন করে লাগু হওয়া কোভিড বিধিনিষেধের কারণে বেশ কিছুদিন টানা ইন্টারভিউ বন্ধ রাখতে হয়েছিল। এর পরেও  হাজারের বেশি প্রার্থীর ইন্টারভিউ শেষ করতে পারায় খানিক স্বস্তিতে কমিশন। 

কমিশনের এক কর্তা জানিয়েছেন, আপাতত বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, ভূগোল সহ ন’টি বিষয়ের ইন্টারভিউ আপাতত চলছে। আগামী মাস থেকেই ১১টি বিষয়ের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। ধাপে ধাপে বিষয় এবং প্রার্থীর সংখ্যা বাড়ানো হবে। গত বছর কলেজ সার্ভিস কমিশন প্রায় ২ হাজার ২০০ অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর নিয়োগ করা হয়েছে। সেই সময় নতুন কিছু কলেজে শূন্যপদ তৈরি হয়েছিল। এখন যে শূন্যপদ তৈরি হয়েছে,  সেটা অবসরের কারণে। এবারও শূন্যপদ ২ হাজারের কাছাকাছি হওয়ার কথা। ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কলেজগুলিতে যে শূন্যপদ তৈরি হবে, পুজোর আগেই সেই হিসেব সংগ্রহ করা হবে৷ তার ভিত্তিতেই পরবর্তী নিয়োগ হবে। গতবার বায়োটেকনোলজি, মলিকিউলার বায়োলজির মতো কিছু বিষয়ে শূন্যপদ না থাকা সত্ত্বেও ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছিল। তবে এবার আর সেই সকল বিষয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়নি। শূন্যপদের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে৷ অন্যদিকে গতবার প্রায় ৫০০টি শূন্যপদে যোগ্য প্রার্থী মেলেনি। সেই শূন্যপদগুলিও এবারের তালিকায় যুক্ত হবে।

কলেজ সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় অবতীর্ণ হওয়ার জন্য স্নাতকোত্তরে ন্যূনতম ৫৫ শতাংশ নম্বর এবং সেট বা সর্বভারতীয় নেট উত্তীর্ণ হতে হয়৷ তবে পিএইচডি থাকলে নেট বা সেট দিতে হয় না। কমিশন আগামী মাসের মধ্যেই সেটের ফল প্রকাশ করার উদ্যোগ নিয়েছে৷ প্রায় ৮৩ হাজার প্রার্থী সেট দিয়েছেন। এবারই প্রথম বাংলায় প্রশ্নপত্র হয়েছে। তাই বাংলা মাধ্যমের পরীক্ষার্থীরা সুবিধাজনক জায়গায় থাকবেন বলে কমিশন আশাবাদী।