কলকাতা: কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে মঙ্গলবার বিকেলে নবম – দশমের আরও ৪০ জন অযোগ্য প্রার্থীর নামের তালিকা প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেই সঙ্গে প্রকাশ করা হয়েছে তাদেরও ওএমআর শিটও। সেখানে দেখা গিয়েছে, জনৈক পরীক্ষার্থী নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ওএমআর শিটে রোল নম্বরটুকুও লিখতে পারেননি৷ অথচ তিনি চাকরি পেয়ে গিয়েছেন৷ ইতিমধ্যে সেই ওএমআর শিট নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আরও পড়ুন- আমাকে মেরে ফেলো, কিন্তু…! স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে কাতর আর্জি মানিকের
মঙ্গলবার প্রকাশিত অযোগ্য শিক্ষকদের তালিকায় ৩১ নম্বরে রয়েছে প্রাপ্তি চৌধুরীর নাম৷ তাঁর নামের সঙ্গে ওএমআর শিটও প্রকাশ করা হয়েছে৷ যা দেখে চোখ কপালে উঠেছে সকলের৷ সেখানে দেখা যাচ্ছে ওএমআর শিটের পদ্ধতি মেনে নিজের রোল নম্বর, সাবজেক্ট কোড, বুকলেট নম্বর, ভেনু কোড কিছুই লিখতে পারেননি প্রাপ্তি৷ শুধু নিজের নামটা সই করেছেন। গোটাকয়েক প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন। আর তার ভিত্তিতেই চাকরি পেয়ে গিয়েছেন ওই মহিলা প্রার্থী।
এই ওএমআর শিট প্রকাশ্যে আসার পরই সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরা৷ তাঁদের দাবি, এই ওএমআর শিট থেকেই স্পষ্ট কী পরিমাণে দুর্নীতি হয়েছে। এই ওএমআর শিট তো স্ক্যানিংয়ের সময়ই বাতিল হয়ে যাওয়ার কথা। অথচ তা হয়নি৷ তা বৈধ বলে গ্রাহ্য করা হয়, এমনকি ওই প্রার্থী চাকরিও পেয়ে যান। যিনি ওএমআর শিটে নিজের রোল নম্বরটা ঠিক করে লিখতে পারেননি, তিনি এতদিন ছাত্রছাত্রীদের কী পড়িয়েছেন, তা নিয়েও সংশ্লিষ্ট মহল সংশয় প্রকাশ করেছে। জানা যাচ্ছে, প্রাপ্তি চৌধুরী রায়গঞ্জের বাসিন্দা। তিনি ওই শহরেরই দেবীনগর গয়ালাল রামহারি গার্লস হাই স্কুলে বাংলা পড়ান৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>