কলকাতা: আমতা-কাণ্ডে পার্ক সার্কাসে ধুন্ধুমার৷ পুলিশের বেশে বাড়িতে এসে ছাত্র খুনের ঘটনায় উত্তাল কলকাতার পথ৷ ছাত্র বিক্ষোভে অবরুদ্ধ পার্ক সার্কাস৷ মোমবাতি হাতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ হওয়ার কথা থাকলেও মুহূর্তে বদলে যায় ছবি৷ মানববন্ধনে সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ করে ফেলা হয় সেভেন পয়েন্ট বা সাত মাথার মোড়৷ কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলির সংযোগস্থল এটি৷ সমস্ত রাস্তার মোড় আটকে যাওয়ায় তৈরি হয় বিশাল যানজট৷ পড়ুয়াদের সরাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় তাঁদের৷ গার্ড রেল সরিয়ে দেয় পড়ুয়ারা৷
আরও পড়ুন- তৃণমূলের পরবর্তী কর্মসমিতির বৈঠক দিল্লিতে, তাৎপর্যপূর্ণ ইঙ্গিত দলনেত্রীর
পুলিশের কাছে খবর ছিল পড়ুয়ারা শান্তিপূর্ণভাবে মোমবাতি হাতে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে পদ্মপুকুর ক্রসিং পর্যন্ত হেঁটে যাবেন৷ সেই মতো অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা ছিল না৷ পরে তাঁরা মিছিলের অভিমুখ বদলে সেভেন পয়েন্টের দিকে এগিয়ে আসে৷ পুলিশের ব্যারিকেট ভেঙে ফেলা হয়৷ পরে অবশ্য সেভেন পয়েন্ট ছেড়ে তাঁরা ডন বসকো যাওয়ার রাস্তাঅবরোধ করে৷ মোমবাতি-প্ল্যাকার্ড হাতে রাস্তার উপরেই বসে পড়েন পড়ুয়ারা৷ কিন্তু ততক্ষণে তৈরি হয়েছে বিশাল যানজট৷ একছাত্র বলেন, যতক্ষণ না সরকারের কাছে বার্তা পৌঁছচ্ছে, আমরা বিক্ষোভ মিছিলে আছি৷ কেন এই হিংসা? তাঁর কথায়, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা ইতিমধ্যেই ১৩৮ দিন ধরে আন্দোলন করছে৷ সেই আন্দোলনকে দমিয়ে দেওয়ার জন্যে এর আগেও হামলা হয়েছে৷ মথ্যে এফআইআর হয়েছে৷ আজ ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম মুখ আনিস খানকে খুন করা হয়েছে৷ আর কতটা সহ্য করব আমরা?
উল্লেখ্য, গভীর রাতে পুলিশের পরিচয় দিয়ে বাড়িতে ঢুকে খুন করা হয় ছাত্র নেতা আনিস খান (২৮)কে৷ ঘটনাটি হাওড়ার আমতা থানা এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আমতার সারদা দক্ষিণ খাঁ-পাড়ায়। পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের পোশাকে বাড়িতে গিয়ে আনিসকে তিন তলার ছাদ থেকে ফেলে খুন করা হয়৷ যদিও সেই দাবি অস্বীকার করেছে আমতা থানা৷ তাঁদের দাবি, তারা ওই বাড়িতে কোনও পুলিশ পাঠায়নি। আইএসএফ নেতার অকাল মৃত্যুতে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। প্রতিবাদে বিক্ষোভে নামেন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা৷ এই আন্দোলনে যোগ দেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু পড়ুয়াও৷ স্থানীয়রা বলছেন প্রতিবাদী হিসাবে আনিসের পরিচিতি ছিল৷ এনআরসি আন্দোলনের সময় প্রথম সারিতে ছিলেন তিনি৷ দিল্লি জওহরলাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র উমর খালিদের গ্রেফতারির সময়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছিল আনিস৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>