ব্রেকিং: রাজ্যবাসীর জন্য রক্ষাকবচ! নতুন প্রকল্প ঘোষণা সরকারের

ব্রেকিং: রাজ্যবাসীর জন্য রক্ষাকবচ! নতুন প্রকল্প ঘোষণা সরকারের

কলকাতা: রাজ্যবাসীর জন্য সুরক্ষা কবচ নিয়ে এল রাজ্য সরকার৷ নজরুল মঞ্চে সাংবাদিক বৈঠক করে সেই বার্তাই পৌঁছে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এদিন অভিষেক বলেন, ‘দিদির দূত’ নামে একটি অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে৷ যেখানে সরকারের প্রায় ১৫টি প্রকল্প রয়েছে৷ এই প্রকল্পগুলি সরকার মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিতে চাইছে৷ আগামী ২ মাস ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রায় ৩৫০ জন রাজ্য স্তরের নেতা ১০ দিন করে প্রত্যেকটি অঞ্চলে রাত্রিযাপন করবেন এবং সেখানকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের অভাব-অভিযোগ, মতামতের কথা নেত্রী পর্যন্ত পৌঁছে দেবেন৷

আরও পড়ুন- খুলছে না অটোমেটিক স্লাইডিং ডোর, টান শৌচাগারের জলেও, প্রশ্নের মুখে বঙ্গে বন্দে ভারত পরিষেবা

এদিন, ২ মিনিটের একটি ভিডিয়োতে বলা হয়েছে, দুর্গম পার্বত্য অঞ্চল থেকে সবুজে ঘেরা গাঙ্গেয় উপত্যকা, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে একাত্ম হয়েছে ঐতিহ্যপূর্ণ স্থাপত্য৷ গোটা পশ্চিমবাংলা যেন বাধা পড়েছে এক সুতোয়৷ ৮ থেকে ৮০ বাংলার প্রতিটি মানুষ উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলছে৷ রাজ্যবাসীর মৌলিক চাহিদাগুলি পূরণ করার দায়িত্ব নিয়েছে সরকার৷ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে৷ গ্রাম থেকে শহর, রাজ্যের প্রতিটি মানুষকে সামাজিক সুরক্ষা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আবাস, খাদ্য, উপার্জনের ক্ষেত্রে মজবুজ হয়ছে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন যুগান্তকারী প্রকল্পে৷ এই প্রকল্পগুলি একত্রিত হয়ে একটি নিরাপত্তাবলয় গড়ে তুলেছে৷ সব মিলিয়ে নিয়ে আসে হয়েছে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’৷ 

যেখানে রয়ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কৃষক বন্ধু, সামাজিক সুরক্ষা যোজনা, মানবিক পেনশন, জয় বাংলা, বিধবা ভাতা, স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী, ঐক্যশ্রী, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, শিক্ষাশ্রী, বাংলার আবাস যোজনা, নিজ গৃহনিজ ভূমি, খাদ্যসাথী, যুবশ্রী৷ এই প্রকল্পগুলির হাত ধরে বাংলার মানুষ সুরক্ষিত৷ তাদের সুরক্ষাকবচ দেওয়া হয়েছে৷ উন্নয়ন ও অগ্রগতির সঙ্গে থাকবে দিদির সুরক্ষা কবচ৷ 

‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচির মধ্যে দিয়েই পঞ্চায়েত ভোটের আগে বড় মাত্রায় জনসংযোগে নামতে চলেছে তৃণমূল। এই কর্মসূচিতে তৃণমূলের সাড়ে ৩ লক্ষ স্বেচ্ছাসেবক ‘দিদির দূত’ হয়ে রাজ্যের ১০ কোটি মানুষের বাড়িতে পৌঁছবেন। মানুষকে জানাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের ১৫টি ‘ফ্ল্যাগশিপ’ প্রকল্পের কথা। কোনও প্রকল্প পেতে অসুবিধা হচ্ছে কি না, তা-ও জানতে চাইবেন দিদির দূতেরা। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কোনও পরামর্শ থাকলেও তা নথিভুক্ত করে নেবেন দিদির দূতেরা। তার পর অ্যাপের মাধ্যমে সেটি চলে আসবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে।

পঞ্চায়েত ভোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না হলেও রাজনৈতিক দলগুলি নিজের নিজের মতো করে প্রচার কর্মসূচি নিয়ে ময়দানে নেমে পড়েছে। পিছিয়ে নেই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসও।