নয়াদিল্লি: ফের শ্রদ্ধা ওয়ালকর হত্যাকাণ্ডের ছায়া দিল্লিতে। সৎবাবাকে খুন করে দেহ ১০ টুকরো করল ছেলে৷ এই ঘটনায় সোমবার গ্রেফতার করা হয় দিল্লির বাসিন্দা দীপক দাস এবং তাঁর মা পুনম দাস। অভিযোগ, মায়ের সাহায্য নিয়েই সৎ বাবা অঞ্জন দাসকে হত্যা করেন দীপক৷
আরও পড়ুন- বাড়িতে নালিশ কেন? অন্তঃসত্ত্বা শিক্ষিকাকে স্কুলের মধ্যেই মার! ধুন্ধুমার অসমের স্কুলে
এই ঘটনার তদন্তের মাঝেই দিল্লি পুলিশের হাতে একটি সিসিটিভি ফুটেজ আসে। যেখানে দেখা যায়, দিল্লির একটি মাঠে প্লাস্টিক ব্যাগ নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন দীপক। কিছুক্ষণ পর ব্যাগটি মাঠ থেকে তুলে নিয়ে ফের হাঁটতে শুরু করেন৷ এই সিসিটিভি ফুটেজ দেখার পরেই সন্দেহ হয় পুলিশের। তদন্তে নেমে তারা জানতে পারে, ওই মাঠেই দীপক তাঁর সৎবাবার কাটা মাথা পুঁতে দিতে এসেছিলেন৷
শ্রদ্ধার মতোই খুন হন অঞ্জন দাস৷ খুনের পর তাঁর দেহ ১০ টুকরো করা রেফ্রিজারেটরে রাখে দীপক৷ তারপর দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় সেই দেহাংশ ফেলে দিয়ে আসেন তিনি৷ সেই ঘটনায় প্রকাশ্যে সিসিটিভি ফুটেজ৷
পুলিশ জানায়, দীপকের মা পুনমের যাবতীয় গয়না বিক্রি করে দিয়েছিলেন অঞ্জন। তারপর গয়না বিক্রির সেই টাকা পাঠিয়ে দেন বিহারে নিজের প্রথম স্ত্রী ও ৮ সন্তানের কাছে৷ এর পর থেকেই রাগে ফুঁসছিলেন পুনম ও দীপক৷ সেই জেরেই খুন৷ প্রসঙ্গত, শ্রদ্ধা খুনের তদন্তে নেমেই অঞ্জন খুনের হদিস পায় পুলিশ। শ্রদ্ধার দেহাংশের খোঁজে তল্লাশি চালানোর সময় দিল্লির বিভিন্ন জায়গা থেকে বেশ কিছু দেহাংশ মিলেছিল। যা কোনও পুরুষের৷ এর পর দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে লাগানো সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অঞ্জন খুনের কিনারা করে পুলিশ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, অঞ্জনের পানীয়তে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিয়েছিলেন পুনম এবং দীপক। অঞ্জন গভীর নিন্দ্রায় চলে গেলে তাঁর গলায় কুঠারের কোপ মেরে খুন করেন দীপক৷ সারা রাত ধরে মৃতদেহ থেকে রক্ত বেরিয়ে যাওয়ার পর সকালে ছুরি এবং অন্য একটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে অঞ্জনের দেহ ১০ টুকরো করেন মা-ছেলে৷ এর পর সেগুলি পলিথিনের ব্যাগে ভরে রেফ্রিজেরেটরে রেখে দেন পুনম এবং দীপক। এর পর সময় বুঝে সেই টুকরোগুলি দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দিয়ে আসতেন দীপক। তল্লাশি চালিয়ে এখনও পর্যন্ত অঞ্জনের দেহের ৬টি টুকরো খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। ওই ধারালো অস্ত্রটিও হাতে এসেছে৷ কিন্তু এখন ছুরির খোঁজ মেলেনি৷