কলকাতা: আমতায় ছাত্র খুনের মামলায় কোন পথে তদন্ত? ভবানী ভবনে হাওড়া গ্রামীণের এসপি-কে তলব রাজ্য পুলিশের ডিজি’র৷ এসপি’র থেকে রিপোর্ট নিলেন ডিজিপি৷ ভবানী ভবনে দীর্ঘক্ষণ ধরে বৈঠক চলে৷ গোটা ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসারকে দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ডিজিপি৷ হাওড়া গ্রামীণের পুলিশ সুপারের কাছ থেকে রিপোর্ট নেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সৌম্য রায়৷
আরও পড়ুন- নদী সাঁতরে জঙ্গল ছাড়িয়ে ১০ কিলোমিটার দূরে ডোরাকাটার হানা, আতঙ্কে সন্দেশখালি
তিনি জানান, এই ঘটনায় পরিবার ও আশেপাশের মানুষদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে৷ তদন্ত শুরু করা হয়েছে৷ কিন্তু রাতের বেলায় ফোন করে এই ঘটনার কথা জানানোর পরেও কেন পরদিন সকালে পৌঁছল পুলিশ? অফিসার জানান, মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল৷ ভোর ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে পুলিশ রওনা হয়৷ এমন নয় যে পুলিশ সাড়া দেয়নি৷ অস্বাভাবিক মৃত্যু হিসাবেই তদন্ত শুরু করা হয়েছে৷ এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে৷ পুলিশ তদন্ত করছে৷ এখনও বিষয়টা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে৷ এই মুহূর্তে কোনও কথা বলা হলে তা তদন্তকে প্রভাবিত করতে পারে৷ পুলিশ আনিসের বাড়িতে গিয়েছিল কিনা, সেটাও তদন্ত সাপেক্ষ৷ এখনও কিছু বলা সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছেন সৌম্য রায়৷
তিনি আরও জানান, সম্প্রতি আনিসের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ ছিল না৷ তবে আনিসের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ছিল৷ বহু মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন তিনি৷ অভিযোগ উঠেছে গত বছর লকডাউনের সময় আনিস ওঁর এলাকায় একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেন৷ সেই সময় স্থানীয় তৃণমূলের কিছু নেতারা ওই ব্লাডক্যাম্প করতে বাধা দেয়৷ এমনকী আনিসকে বাড়ি ছাড়া করা হয়৷ ২০২১ সালের ২৪ মে আমতা থানার ইনচার্জের কাছে একটি চিঠি বাইপোস্ট পাঠান আনিস৷ সেখানে আনিস স্পষ্ট লেখেন, আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছি৷ যে কোনও দিন আমাকে ও আমার পরিবারকে প্রাণে মেরে ফেলতে পারে বলে আমার আশঙ্কা৷ এর পরেও কেন কোনও পদক্ষেপ করল না পুলিশ? সৌম্য রায় জানান, আমাদের কাছে অভিযোগ এলে আমরা জিডি করি৷ প্রাণের হুমকি ছিল আনিসের সেই বিষয়টা আমার জানা নেই৷ তদন্তের পর বলা সম্ভব৷
উল্লেখ্য, গভীর রাতে পুলিশের পরিচয় দিয়ে বাড়িতে ঢুকে খুন করা হয় ছাত্র নেতা আনিস খান (২৮)কে৷ ঘটনাটি হাওড়ার আমতা থানা এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আমতার সারদা দক্ষিণ খাঁ-পাড়ায়। পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের পোশাকে বাড়িতে গিয়ে আনিসকে তিন তলার ছাদ থেকে ফেলে খুন করা হয়৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>