নয়াদিল্লি: আমেরিকা, রাশিয়া ও চিনের পর বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে হাইপারসনিক প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ ভারতের। আগেও একবার চেষ্টা করেছিল ভারত, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছিল৷ কিন্তু দ্বিতীয় বারের চেষ্টা বিফলে যায়নি আর৷ এই সফলতাকে প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বড় পদক্ষেপ হিসাবে বিবেচনা করছেন এপিজে আবদুল কালাম টেস্টিং রেঞ্জ'য়ের আধিকারিকরা৷
আজ, সোমবার ওড়িশা উপকূলের বালাসোরের এপিজে আবদুল কালাম টেস্টিং রেঞ্জ থেকে দেশের প্রথম ‘হাইপারসনিক টেকনোলজি ডেমোনস্ট্রেটর ভেহিকেলে’র পরীক্ষা করা হয়। গোটা পর্বে নেতৃত্বে ছিলেন ডিআরডিও কর্তা সতীশ রেড্ডি ও তাঁর হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র সহযোগী দল। এদিন সকালে অগ্নি মিসাইল বুস্টার ব্যবহার করে এই পরীক্ষা করা হয়। যা হাইপারসনিক ভেহিকেলকে ৩০ কিলোমিটার উচ্চতায় নিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এরপর বুস্টার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্ক্র্যামজেট ইঞ্জিন সফল ভাবে চালু করা যায়৷
এই সাফল্য আন্তর্জাতিক মহলে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডিও'য়ের নাম ছড়িয়ে দিয়েছে। এই সংস্থা যে জটিল থেকে জটিলতর প্রযুক্তি তৈরি করতে সক্ষম তা এই সাফল্যে আরও একবার প্রমাণিত হল। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে এরপর আরও অত্যাধুনিক হাইপারসনিক অস্ত্র তৈরি করবে তারা। যেগুলি শব্দের থেকেও ৬ গুণ বেশি গতিতে ছুটবে। উচ্চপদস্থ কর্তাদের কথায়, এই পরীক্ষায় যেহেতু ডিআরডিও সফল হয়েছে তাই আগামী ৫ বছর সংস্থা অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির অনুমোদন পেল। তারা আরও জানিয়েছেন, সংস্থার তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্র গুলি প্রতি সেকেন্ডে ২ কিলোমিটারেরও বেশি পথ অতিক্রম করতে পারে।
টুইটারে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, ‘‘আজ দেশীয়ভাবে তৈরি স্ক্র্যামজেট পপুলেশন সিস্টেম ব্যবহার করে হাইপারসনিক টেকনোলজি ডেমোনস্ট্রেটর ভেহিকেলের পরীক্ষায় সফল হয়েছে ডিআরডিও। পরবর্তী পর্যায়ে যাওয়ার জন্য যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি তৈরি করা আছে ইতিমধ্যেই।’’ পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর আত্মনির্ভর ভারতের স্বপ্নকে বাস্তবে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানীদের ও সমগ্র সংস্থাকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী কুর্নিশ জানিয়েছেন।