কলকাতা: ২১-এর নির্বাচনের আগে 'মাস্টারস্ট্রোক' মুখ্যমন্ত্রীর। সম্প্রতি মোদী সরকার নয়া আটটি পিজি পাঠ্যক্রম চালুর অনুমোদন করেছে। এদিকে রাজ্যে চিকিৎসক তথা স্পেশালিস্টদের চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রাজ্যের ৮০টি হাসপাতালে সেই পাঠ্যক্রম চালু করার ঘোষণা করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
কোর্সগুলি প্রত্যেকটি দু’বছরের। এমবিএ পাশ করার পর ওই ব্যাচের পড়ুয়াকে 'চিকিৎসক' তকমা দিতে আরও ৩ থেকে ৪ বছর সময় লেগে যায়। এই সময় কমাতেই এমবিএ পাশ করার পরই স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা হিসাবে নয়া ৮টি পাঠ্যক্রম নিয়ে এসেছে ন্যাশনাল বোর্ড অব এগজামিনেশনস বা এনবিই। স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা, শিশু চিকিৎসা, অ্যানাসথেসিওলজি, টিবি ও বক্ষরোগ চিকিৎসা, রেডিওডায়াগনোসিস, ফ্যামিলি মেডিসিন, চক্ষু চিকিৎসা এবং ইএনটি -এই আট প্রকার বিষয়ের ওপরেই এবার সরাসরি ডিপ্লোমা করতে পারবেন এমবিএ পাশ করা পড়ুয়ারা।
ইতিমধ্যেই এই পাঠ্যক্রমের বিষয়বস্তু ও সেগুলি কিভাবে চালু করা যায়, তাই নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালের সুপারদের চিঠি পাঠিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। দ্রুত চিকিৎসক তৈরি করতে কতগুলি আসনে প্রথম দফায় এই পাঠ চালু করা যায়, সেই নিয়ে বিস্তর আলোচনা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে স্বাস্থ্যভবন তরফে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, নির্দিষ্ট বেড সংখ্যার নিরিখে মেডিক্যাল কলেজগুলির পরই আসে জেলা হাসপাতালগুলি৷ সেক্ষেত্রে বর্তমানে ১৩টি হাসপাতাল ও পাঁচটি মেডিক্যাল কলেজে ন্যূনতম ৫০০টি বেড আছে। ১০০ থেকে ৪৯৯টি বেড রয়েছে ৩৬টি মহকুমা হাসপাতালে, পাশাপাশি ২৪টি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ১০০ বা তার বেশি বেড আছে। অন্যদিকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ৩০০ থেকে ৫০০ এর মধ্যে রয়েছে। সুতরাং ১০০ এর বেশি বেড রয়েছে এমন সরকারি হাসপাতালের সংখ্যা শতাধিক। হিসাব করলে দেখা যাচ্ছে, এই পাঠ চালু হলে দু’বছর পর থেকেই প্রতি বছর ৫০০ জন করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরি হবেন।
স্বাস্থ্য দফতর আরও জানিয়েছে, সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি ১০০ এরও বেশি বেসরকারি হাসপাতালও এই পাঠ্যক্রম চালু করবে। ফলে ভবিষ্যতে জনসংখ্যার নিরিখে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পাওয়ার সমস্যা মিটবে। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা চিকিৎসক অজয় চক্রবর্তী সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, প্রথম দফায় ৮০টি হাসপাতালে এই পাঠ্যক্রম চালু করার কথা ভাবা হয়েছে। ফলে আগের তুলনায় দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পাওয়া যাবে। কিন্তু এক্ষেত্রে পাঠদানের জন্য চাই উপযুক্ত শিক্ষক। হাসপাতালে পরিষেবা ও পঠন পাঠনের ওপর ভারসাম্য বজায় রেখেই সে কাজ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।