করোনা আবহে বন্ধ স্কুল, ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৫৭ কোটি শিশু: UNICEF

এই প্রেক্ষিতেই স্কুল খোলার পক্ষে সওয়াল করেছে তারা।

নিউইয়র্ক: করোনাভাইরাস পরিস্থিতি যে গোটা বিশ্ব স্ত্রস্ত। প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ার প্রায় এক বছর কেটে যাওয়ার পরেও ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি এখনো। বিশ্বের একাধিক প্রদেশের এখনো চলছে লকডাউন। তবে যেখানে লকডাউন চলছে না সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এই পরিস্থিতিতে আশঙ্কার কথা শোনালো ইউনিসেফ। তাদের রিপোর্ট বলছে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে স্কুল বন্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৫৭ কোটি শিশু! এই প্রেক্ষিতেই স্কুল খোলার পক্ষে সওয়াল করেছে তারা।

ইউনিসেফ যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তাতে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৫৭ কোটি ২০ লক্ষ শিশু। শিক্ষার ওপর প্রভাব পড়া তো রয়েছেই, এছাড়াও শিশুদের পুষ্টি এবং স্বাস্থ্যের ওপর ভাইরাস আবহের খারাপ প্রভাব পড়েছে। এক্ষেত্রে বোঝা যাচ্ছে, অধিকাংশ স্কুলগুলি থেকেই শিক্ষার পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার পায় শিশুরা। ভাইরাস পরিস্থিতিতে স্কুল বন্ধ থাকায় তাদের খাবারের সমস্যা হয়ে গিয়েছে। সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে স্কুল বন্ধ হওয়ায় বিশ্বের প্রায় ৪০ শতাংশ শিশুর পুষ্টির ক্ষেত্রে ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। আজ, ‌২০ নভেম্বর, বিশ্ব শিশু দিবস। আজকের দিনে ইউনিসেফের এই রিপোর্টে যথেষ্ট আশঙ্কা বাড়িয়েছে বিশ্বের শিক্ষা মহলে।

পরিস্থিতি এখনো সম্পূর্ণরূপে স্বাভাবিক না হলেও স্কুল খোলার পক্ষেই সওয়াল করেছে ইউনিসেফ। তাদের দাবি, স্কুল বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেই মূলত ভাইরাস ছড়াচ্ছে না। তাই যথাযথ নিয়ম মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করা যেতে পারে। তা না হলে আরো বেশি সংখ্যক শিশু ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে দাবি করেছে তারা। তবে ভারতসহ বিশ্বের অন্যান্য কয়েকটি দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পরে সংক্রমণ বেড়েছে। ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে, হরিয়ানা সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের স্কুল খোলার পরে বহু শিশু এবং পড়ুয়া আক্রান্ত হয়েছে করোনাভাইরাসে। সেই কারণে পুনরায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। পশ্চিমবঙ্গ সহ একাধিক রাজ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গত ৭ মাস ধরে খোলাই হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five + sixteen =