অনলাইন পাঠদানে সড়গড় নন ৫০% শিক্ষক, বলছে সমীক্ষা

সম্প্রতি এড-টেক ফার্ম স্কুলগুরু এডু সার্ভের একটির সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, এখনও দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ শতাংশ শিক্ষক অনলাইন পাঠদানে স্বচ্ছন্দ বোধ করছেন না। এদিকে গত ৬ মাস ধরে বন্ধ স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় সহ সমস্ত প্রতিষ্ঠান। করোনা পরিস্থিতির জেরে পড়াশোনা এখন অনলাইনেই সীমাবদ্ধ।

 

নয়াদিল্লি: করোনা আবহে বদলে গিয়েছে শিক্ষা ব্যবস্থা৷ ক্লাসে চক ডাস্টারের পরিবর্তে জরুরি হয়ে উঠেছে মুঠোফোন৷ গুরুত্ব বেড়ে অনলাইন পঠনপাঠনে৷ সম্প্রতি এড-টেক ফার্ম স্কুলগুরু এডু সার্ভের একটির সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, এখনও দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ শতাংশ শিক্ষক অনলাইন পাঠদানে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন না৷ বলা ভাল প্রযুক্তির সঙ্গে সড়গড় নন তাঁরা৷

গত ৬ মাস ধরে বন্ধ স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় সহ সমস্ত প্রতিষ্ঠান। করোনা পরিস্থিতির জেরে পড়াশোনা এখন অনলাইনেই সীমাবদ্ধ৷ টিমলিজ সংস্থা এড-টেক ফার্ম স্কুলগুরু এডু সার্ভের 'ভারতীয় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষাদান এবং শিক্ষাগ্রহণ ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার' নামক সমীক্ষাটি ভারতের ১২০০ জন শিক্ষকদের ওপর করা হয়েছিল। সেখানে দেখা গিয়েছে, ৮৯.৯২ শতাংশ শিক্ষকই পড়াশোনা করানোর জন্যে অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করেননি। পাশাপাশি তাঁদের মধ্যে ৪.২ শতাংশ শিক্ষকদের অনলাইনে পাঠদানের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ১৭.৪৮ শতাংশ শিক্ষক জানিয়েছেন, তাঁদের প্রতিষ্ঠান এই প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা ভেবেছে। পাশাপাশি ৮২.৫২ শতাংশ শিক্ষকদের কোনও প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি।

সমীক্ষা অনুযায়ী, সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করা শিক্ষকদের মধ্যে মাত্র ৩ শতাংশ শিক্ষক অনলাইন পাঠদানের প্রশিক্ষণ অর্জন করেছেন। অন্যদিকে ৯২ শতাংশেরও বেশি শিক্ষকের মতে, তাঁরা করোনা পরিস্থিতির আগে কখনওই অনলাইনে শিক্ষার জন্য কোর্সওয়্যার তৈরি করেননি বা তাঁদের অনলাইন শিক্ষার জন্য কোর্সওয়্যারের এক্সপোজার ছিল না। পাশাপাশি তাঁরা আরও জানান, শ্রেণি কক্ষে সশরীরে উপস্থিত থেকে পাঠদান করানোর থেকে অনলাইন মাধ্যমে পাঠদানের প্রক্রিয়া অনেকটাই আলাদা।

৮২ শতাংশ শিক্ষকদের মতামত অনুযায়ী, দক্ষতার ব্যবধানই তাঁদের সমস্যার প্রধান কারণ। তাই সংস্থার কর্মকর্তা শান্তনু রুজে'র মতে, প্রতিষ্ঠানগুলিকে দ্রুত দক্ষতা বাড়ানোর জন্যে উন্নতি প্রযুক্তির প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করার একমাত্র এটাই হাতিয়ার। পাশাপাশি মঙ্গলবার ভারতের রাষ্ট্রপতি রমানাথ কোভিন্দ জানিয়েছেন, ২০২১ সালের মধ্যে উন্নত মানের শিক্ষা সংক্রান্ত সম্পূর্ণ নতুন পাঠ্যক্রম তৈরি করা ভারতের লক্ষ্য। সেখানে শিক্ষকদের উন্নততর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven − four =