অনলাইন শপিংয়ে টাকা শেষ! ৫ উপায়ে বাঁচান ফালতু খরচ

অনলাইন শপিংয়ে টাকা শেষ! ৫ উপায়ে বাঁচান ফালতু খরচ

3 stocks recomended

নয়াদিল্লি: কীভাবে ফালতু খরচ কমিয়ে টাকা জমাবেন? খরচে রাশ না টানলে কি সঞ্চয় সম্ভব কোনদিনও অনলাইন শপিংয়েই তো চলে যায় অর্ধেকের বেশি টাকা? ৫ উপায়ে ম্যানেজ করুন নিজের এক্সপেন্স৷ 

জীবনে যেমন সংযম দরকার তেমনই সংযম বাজেট ম্যানেজমেন্টেও দরকার? বলা হচ্ছে সঞ্চয়ের অভ্যাস তৈরি করতে সবার আগে দরকার খরচ কমানোর অভ্যাস। ইদানীং খরচের ধরন অনেক বদলে গিয়েছে। বাজারিকরণের প্রয়োজনে অনেক রংচঙে বিজ্ঞাপন ও লোভনীয় ছাড় দিয়ে ক্রেতাদের আকর্ষণ করা হয় নানা সামগ্রী কিনতে। মানে সোজা কথায় হাতে স্মার্টফোন৷ আপনি যা চাইছেন চট করে একটা ক্লিকেই অর্ডার৷ ব্যাস গ্যাঁটের কড়ি কত খরচ হচ্ছে আপনি বুঝতেও পারছেন না৷ এক দিকে ই-কমার্স সাইটের বাড়বাড়ন্ত ও অন্য দিকে পাড়ার মোড়ে মোড়ে শপিং মল, সব মিলিয়ে খরচের হাত বেড়ে গিয়েছে সকলেরই।
 

এমনকি নেহাতই অভ্যাসের বশে অনেক জিনিস কিনে ফেলার পরে দেখলেন তেমন কাজে এলই না কিছু। তবে ক্ষতি এতে একটাই, অনিয়ন্ত্রিত খরচের বাজে অভ্যেস তৈরি হয়ে যায় যা পিছু ছাড়ানো বেশ কঠিন। আর সঞ্চয়ের পথে এই বাজে খরচই সব চেয়ে বড় কাঁটা।বিশেষজ্ঞদের মতে, এর থেকে মুক্তির প্রধান উপায় হল –

১)সপ্তাহে দুটো দিন কেবল যাতায়াত খরচ বাদ দিয়ে আর কোনও ধরনের খরচ না করবেন না৷ এতে সেই একটু একটু করে শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার অভ্যাস তৈরি হবে।

২)এর সঙ্গে প্রতিমাসে কিছু না কিছু কিনতেই হবে অনলাইনে বা তারই সঙ্গে মলে গেলেই কিছু না কিছু কিনতে হবে, এমন মানসিকতা থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে হবে। কিছু কেনার দরকার পড়লে বাড়ি থেকে ফর্দ বানিয়ে নিয়ে যান। ফর্দ মিলিয়ে শুধু সেইটুকু বাদ দিয়ে আর কিছু কিনবেন না। যতটুকু আপনার দরকার ততটুকুই কিনুন এর থেকে বেশি একেবারেই নয়৷ তা হলেই খরচের বদলে সঞ্চয়ের অভ্যাস তৈরি হয়ে যাবে খুব কম সময়েই।

৩)একান্ত কেনাকাটা করতে হলে  যখন ছাড় চলে, তখন কেনাকাটা করুন। অফ সিজনে কেনাকাটা করুন। যেখানে যে জিনিসের দাম কম, সেটা সেখান থেকেই কিনুন।

৪)আরেকটা টিপসে বিশেষজ্ঞরা বলছেন কার্ডে নয়, ক্যাশে পে করুন। দেখবেন খরচ অনেকটাই কমে আসবে।

৫)তবে সবথেকে প্রয়োজনীয় আপনার মাইন্ডসেট ঠিক থাকা৷ 
তাহলেই দেখবেন কীভাবে মুশকিল আসান হয়ে যাচ্ছে হাতে বাঁচছে টাকা৷ সেই টাকা আপনি সঞ্চয়ও করতে পারেন আবার ইনভেস্টও করতে পারেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − two =