কলকাতা: সরকারকে নির্দিষ্ট সময়ে যথাযথ ট্যাক্স দেওয়া প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য, কিন্তু এক্ষেত্রে কর বাঁচানোর রাস্তাও রয়েছে। খোদ সরকারের তরফেই কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাতে উৎসাহ দেওয়া হয়ে থাকে। কর বাঁচানোর জন্য ৮০সি ধারায় যে কয়েকটি ছাড়ের কথা বলে দেওয়া হয়েছে তার কথা সবাই জানেন। পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (PPF), ইকুইটি লিঙ্কড সেভিংস স্কিম (ELSS), এবং অবশ্যই এমপ্লয়ি প্রভিডেন্ট ফান্ডে (EPF) বিনিয়োগের মাধ্যমে কর বাঁচানোর সুযোগ থাকেই। তবে আপনার পরিবারের মানুষগুলোও যে আপনার ট্যাক্সের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করতে পারে সে খবর কি জানা আছে? আসুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।
বিনিয়োগ, সঞ্চয় এমনকি মা-বাবা বা পরিবারের আর কাউকে উপহার দেওয়ার মাধ্যমেও দেয় করে কিছুটা ছাড় পাওয়া সম্ভব। যে ৫ উপায়ে কর বাঁচানোর চেষ্টা করলে অবধারিত সাফল্য পাওয়া যাবে সেগুলি আলোচনা করা হল।
লোন: উপহার হিসেবে পরিবারের লোকেদের দেওয়া টাকাটা যদি তাঁরা পিপিএফের মতো করহীন জায়গায় বিনিয়োগ করেন, তা থেকে সুদ বাবদ আয় হবে সম্পূর্ণ করমুক্ত। এছাড়া, করযোগ্য আয়ের পরিমাণ কমানোর জন্য করমুক্ত লোনও পরিবারের যে কাউকে দেওয়া যেতে পারে।
সন্তানের পড়াশোনা: ৮০ই (80E) ধারা অনুযায়ী সন্তানের জন্য শিক্ষাঋণ (education loan) নেওয়ার মাধ্যমেও আয়করে ঘাটতি আনা যায়। এক্ষেত্রে ৮ বছর পর্যন্ত সুদসহ ঋণ পরিশোধ করতে হয়। এছাড়া, আয়ের পরিমাণ কমানোর জন্য নিজের সন্তানকে কেউ করমুক্ত লোনও দিতে পারেন।
পরিবারের হয়ে বিনিয়োগ করা: সন্তানের নামে পিপিএফ, মিউচুয়াল ফান্ডের মতো বিনিয়োগ ব্যবস্থার আয়োজন করা হলে আপনার দেয় ট্যাক্সের পরিমাণ কমতে পারে। বার্ষিক ১ লক্ষ টাকার কম আয় হলে ইকুইটি মিউচুয়াল ফান্ডেও বিনিয়োগ করা যায়। এছাড়া সন্তানের নামে সাধারণ সেভিংস অ্যাকাউন্টও খোলা যায়, যেখান থেকে শিশু প্রতি ১৫০০ টাকা সুদ পাওয়া গেলে কর ছাড় পাওয়া যাবে।
মা বাবাকে ভাড়ার টাকা দেওয়া: যদি কোনো করদাতা তাঁর মা বাবাকে ভাড়ার টাকা দেন, তবে তা থেকে কর ছাড় পাওয়া যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে ভাড়ার সম্মতিসূচক কাগজপত্র, ব্যাঙ্কের কাগজপত্র এবং হাউসিং সোসাইটির ইনটিমেশন প্রয়োজন হয়।