মুম্বাই: পাঁচজন পরিচালক একসঙ্গে কোভিড-১৯ এর বাস্তব কাহিনী নিয়ে ছবি নির্মাণ করতে চলেছেন। সম্প্রতি এই খবর জানিয়েছেন ‘আর্টিকেল ১৫’, ‘থাপ্পড়’ এর পরিচালক অনুভব সিনহা। ছবিটি একটি বিজ্ঞানকেন্দ্রিক ছবি হিসাবে উপস্থাপন করার কথা ভেবেছেন তারা।
লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যে বলিউড এক নতুন অভিজ্ঞতা লাভ করেছে। ওটিটি প্লাটফর্মে ছবি মুক্তির পাশাপাশি এই লকডাউনেই বলিউড হারিয়েছে একাধিক তারকাকে। এই সব ঘটনার সমন্বয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকেই এই ছবির কাহিনি বাছা হবে। পাঁচজন পরিচালকের পাঁচটি অভিজ্ঞতাকে তুলে ধরা হবে স্ক্রিপ্টে। পরিচালক অনুভব সিনহা ছাড়াও ছবিটি পরিচালনার দায়িত্বে থাকছেন, সুধীর মিশ্র, হংসল মেহেতা, সুভাষ কাপুর এবং কেতন মেহেতা।
আরও পড়ুন: এবার বলিউড থেকে ডাক পেলেন হুগলির আদিবাসী কন্যা চাঁদমণি
বিশেষত ডক্যু-ফিচার হিসাবেই এই ছবির প্লট ভাবা হচ্ছে। অনুভবের কথায়, ‘এটা একটা মজার বিষয়। এই গুরুত্বপূর্ণ ও ভয়ঙ্কর সময়টাকে নিয়ে আমরা মানুষকে আমাদের কাহিনি বলব। ছবিটিকে দর্শকের কাছে যতটা গ্রহণযোগ্য করা যায় তার কথা ভাবছি আমরা।‘ প্রত্যেকেই প্রত্যেকের গল্পে ইউনিক কিছু রাখছেন বলে জানান অনুভব। তিনি বলেন, “হংসলের গল্পে একটা কমেডি এবং একটি ট্র্যাজেডির অ্যাঙ্গেল থাকছে। সুধীর এবং সুভাষের গল্প রাজনৈতিক। তবে দুজনের গল্পই আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ভাবা হয়েছে।’’ অনুভব নিজের গল্প নিয়ে এখনও ভেবে চলেছেন। তিনি মূলত করোনার ভয় নিয়ে ছবির গল্প ভাবছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমার ফ্ল্যাটটা ২০ তলায়। ফলে সেখান থেকে গোটা মুম্বাই শহরটাকেই দেখা যায়। ইদানীং করোনা আবহে সেখান থেকে শহরটাকে মৃত বলে মনে হচ্ছে।’’ এরকমই কোনও এক গল্প তিনি বলতে চলেছেন তাঁর স্ক্রিপ্টে। যদিও কেতন মেহেতা এখনও তাঁর গল্প নিয়ে কিছু ভেবে ওঠেননি বলে জানান অনুভব।
অনুভব আরও বলেন, কোভিডের এই সময়টাকে ‘ইন্টারেস্টিং’ বললেও কম হয়। তিনি জানান, “সুধীর মিশ্র’র ড্রাইভার করোনা সংক্রমিত হয়েছিলেন। কিন্তু কোনও হাসপাতালে বেড পাওয়া যাচ্ছিল না। আমরা প্রত্যেকে একে ওকে ফোন করছিলাম শুধু বেড পাওয়ার জন্য। সুধীর ভাইয়ের বাবা মারা যান লকডাউনের মধ্যে। সেই রাতেই আমার মাথায় আসে এটা আমাদের রেকর্ড করে রাখা প্রয়োজন।’’ তিনি আরও বলেন, “এরকম ভাবেই যখন ইরফান মারা গেলেন তখন তাঁকে শেষ বারের জন্য দেখতে যেতেও পারিনি। এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে ঝগড়া হয় আমার এবং তিমাংশু ধুলিয়া’র।’’ সেই ভাবনা থেকেই আলোচনার মাধ্যমে এই ছবি তৈরির কথা মাথায় আসে বলে জানান তিনি। চলতি বছরের মার্চ মাস থেকেই তারা এটা নিয়ে ভাবছেন, গল্পের খোঁজ করে চলেছেন।