কলকাতা: রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বসন্ত উৎসব বিতর্কে নড়া মোড়৷ পিঠে রঙ দিয়ে অশ্লীল শব্দ লেখার ঘটনায় দোষ স্বীকার ৬ অভিযুক্তের৷ রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিটি রোড ক্যাম্পাসে বহিরাগত ৪ যুবতী ও দু’যুবকের বেপরোয়া উল্লাসের ঘটনায় নিন্দার ঝড় ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ চাপে পড়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ৷ পরিস্থিতি বেগতিক দেখে আজ সকালে রবীন্দ্রভারতীর বিটি রোডের ক্যাম্পাসে হাজির হয় তিন যুবতী ও এক যুবক৷ সেখানেই তাঁরা তাঁদের দোষ কবুল করে৷
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ছিল রবীন্দ্রভারতীর বিটি রোডের ক্যাম্পাসে দোল উৎসব৷ সেখানে শাড়ি পরা কিছু যুবতী খোলা পিঠের উপর আবির দিয়ে রবী ঠাকুরের গানের একটি লাইন বিকৃত ভাবে অশ্লীল শব্দ লেখেন৷ সেই ছবি ভাইরাল হতেই তৈরি হয় বিতর্ক৷ বিতর্কের মাঝে পড়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করে রবীন্দ্রভারতী কর্তৃপক্ষ৷ সিঁথি থানার পুলিশ অভিযুক্তের সন্ধান শুরু করে৷ প্রাথমিক বাবে জানা যায়, অভিযুক্তরা চন্দননগরের বাসিন্দা৷
গোটা বিষয়টি থানা-পুলিশ হতে দেখে আজ সকালে বীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজির হন ৫ অভিযুক্ত৷ অভিযুক্তদের কথা বলে কর্তৃপক্ষ৷ সেখানে ভুল স্বীকার করে দেন পাঁচ অভিযুক্ত৷ পরে, অভিযুক্তদের পুলিশের হাতে তুপল বিষয়েও নেওয়া হয়েছে সিদ্ধান্ত৷ গত ডিসেম্বরে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর কলাভবনে অনুষ্ঠিত নন্দনমেলাতেও উঠেছিল বিতর্ক। রোদ্দুর রায়ের বিকৃত গান 'চাঁদ উঠেছিল গগনে' বিতর্ক। এবার যেন অশ্লীলতায় আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল, এমনই মনে করছেন নেটিজেনদের একাংশ। দোল উৎসব উপলক্ষে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিটি রোড ক্যাম্পাসের কয়েকটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যেখানে একটি ছবিতে দেখা গেছে, শাড়ি পরা একাধিক তরুণীর পিঠে আবির দিয়ে লেখা রবীন্দ্রনাথের গানের বিকৃত রূপ। সঙ্গে অশ্লীল শব্দ। অন্য ছবিতে দেখা গেছে, কয়েকজন ছেলের বুকেও লেখা ছিল অশ্লীল শব্দ। এই ঘটনার নিন্দা করেছেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীসহ বহু মানুষ।
এর আগে গত বছরের দোল উৎসব অনুষ্ঠানকে ঘিরে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। মদ্যপ অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল কয়েকটি তরুণকে। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এহেন আচরণ মেনে নিতে পারেননি অনেকেই। আবারও সমালোচনার মুখে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। এবার ৫০ হাজার প্রবেশপত্র ছাপিয়েও রোখা গেল না বহিরাগতদের। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান বিকৃত করে এভাবে অশ্লীল শব্দ প্রয়োগকেও ভাল চোখে দেখছেন না নেটিজেনদের একাংশ।