college seats
কলকাতা: বারবার বাড়ানো হয়েছে স্নাতকে ভর্তির সময়সীমা৷ তবে এতে খুব বেশি লাভ হল না! রাজ্যের বেশিরভাগ কলেজেই ফাঁকা পড়ে রয়েছে একাধিক আসন। প্রথম দু’দফায় পর্যাপ্ত আসন পূরণ না হওয়ায় ভর্তির সময়সীমা ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। এর পরেও দেখা যাচ্ছে, প্রায় ৪১ শতাংশ আসন এখনও খালি রয়ে গিয়েছে। বিগত কয়েক বছরের মধ্যে যা সবচেয়ে বেশি বলেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে৷
তথ্য বলছে, এর আগে ২০২০, ২০২১ এবং ২০২২ সালে যথাক্রমে ৩৪, ৩৩ ও ৩৭ শতাংশ আসন খালি ছিল কলেজগুলিতে৷ কিন্তু, ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর এত বেশি সংখ্যক আসন ফাঁকা পড়ে থাকার নজির তেমন নেই৷ কেন এত বেশি সংখ্যক আসন শূন্য থেকে গেল, তার কারণ পর্যালোচনা করতে গিয়ে উচ্চশিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, বেশিরভাগ জায়গায় সংরক্ষিত আসনগুলি পূরণ হয়নি। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে পর্যাপ্ত সংখ্যক আবেদনই জমা পড়েনি। এছাড়াও, ফি বছরের তুলনায় এ বছর ভর্তির প্রক্রিয়া কিছুটা দেরিতেও শুরু হয়। পড়ুয়া ভর্তির ক্ষেত্রে এমন ভাটা আসবে, তা খানিকটা আন্দাজ করেই কলেজগুলির আবেদনের ভিত্তিতে সময়সীমা বৃদ্ধি করে উচ্চশিক্ষা দফতর। কিন্তু সময় বাড়িয়েও যে বিশেষ লাভ হয়নি, তা পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট।
জানা গিয়েছে, রাজ্যের ৪৪১টি কলেজে প্রায় ৯ লক্ষ আসন রয়েছে। আর চলতি শিক্ষাবর্ষে স্নাতকস্তরে ভর্তি হয়েছেন ৫ লক্ষ ২০ হাজারের কিছু বেশি পড়ুয়া। কলকাতায় ছাত্র ভর্তির হার বেশ খারাপ বলা যায়। মোট আসনের নিরিখে প্রায় অর্ধেক আসনই খালি পড়ে রয়েছে। তালিকায় রয়েছে সিটি কলেজ, গুরুদাস কলেজ, নিউ আলিপুর কলেজের মতো প্রভৃতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি৷