40 thousand
কলকাতা: পুজোর আগে এবছরও নজরানা আসছে ওপাড় বাংলা থেকে৷ উপহার হিসাবে পদ্মার ইলিশ পাঠাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ এপার বাংলায় মোট তিন হাজার ৯৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের মোট ৭৯টি সংস্থাকে মাছ রফতানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এক একটি সংস্থা সর্বোচ্চ ৫০টন করে ইলিশ রফতানি করতে পারবে৷
আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সীমান্ত পেরিয়ে ইলিশ ঢুকবে ভারতে। কিন্তু মাত্র ৪০ দিনে প্রায় চার হাজার টন ইলিশ কি ভাবে আনা সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে মাছ ব্যবসায়ীদের মধ্যে। রয়েছে আরও একটি প্রশ্ন৷ অনেকেরই সন্দেহ মরশুমের একেবারে শেষ লগ্নে যে ইলিশ পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ তা স্বাদে ও গন্ধে উৎকৃষ্ট মানের হবে কি? পেট্রাপোলে শুল্ক দফতরের ক্লিয়ারিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার ইলিশ রফতানির অনুমতি দেওয়ার পর বুধবার রাতেই ন’টি ট্রাক মাছ এপারে আসার কথা। তাতে প্রথম দফাতেই ৪৫ থেকে ৫০ টন মাছ চলে আসবে বাজারে’।
ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, ২০২২ সালে বাংলাদেশের হাসিনা সরকার এদেশে দু’হাজার ৯০০ টন ইলিশ আসার ছাড়পত্র দিয়েছিল। কিন্তু রফতানির সময়সীমা কম থাকায় বাস্তবে এসেছিল মাত্র এক হাজার ৩০০ টন ইলিশ। অর্থাৎ সময়ের অভাবে অনুমোদিত পরিমাণের অর্ধেকও আনা সম্ভব হয়নি। তার আগের বছর, অর্থাৎ ২০২১ সালে চার হাজার ৬০০ টন ইলিশ আনার ছাড়পত্র দিয়েছিল ঢাকা৷ কিন্তু দেখা যায়, এপার বাংলায় এসেছিল মাত্র এক হাজার ২০০ টন ইলিশ।