কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত ভোটে গোটা রাজ্যের সর্বত্র কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় পঞ্চায়েত ভোট করানোর নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য সরকার। শনিবার আদালত বন্ধ থাকায় ই-ফাইলিং করে মামলা দায়ের করা হয়। সোমবার এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়৷ সেখানে কমিশমের পক্ষে জানানো হয়, কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া তাদের কাজ নয়৷
গত ১৬ জুন ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন৷ ওই দিন বিকেল সাড়ে ৩টে পর্যন্ত গোটা রাজ্যে জমা পড়ে মোট ২ লক্ষ ৩১ হাজার ৩২২টি মনোনয়নপত্র৷ স্ক্রুটিনির পর সেই সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ২ লক্ষ ২৮ হাজার ১৫৮। অর্থাৎ, পঞ্চায়েতের তিনটি স্তর মিলিয়ে বাতিল করা হয়েছে ৩১৬৪টি মনোনয়নপত্র৷ তবে এটি চূড়ান্ত তালিকা নয় বলেই জানানো হয়েছে। কারণ, আদালতের নির্দেশে অনেকে নির্ধারিত সময়ের পরেও মনোনয়ন জমা দিয়েছেন৷ ‘শিক্ষাবন্ধু’রা আদালতের নির্দেশে অতিরিক্ত সময়ে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
এদিকে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত ভোটে পর্যবেক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তাদের দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করতে পারে কমিশন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সেই ক্ষমতা বা এক্তিয়ার নেই।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>