কলকাতা: অনেকেই মনে করেন রাজনীতি মানেই বড়লোকেদের খেলা। আর পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে প্রচারে যে বিপুল পরিমাণ টাকা ওড়াতে দেখা গেল, তাতে নানা মহলে প্রচলিত সেই ধারণাই আরো বদ্ধমূল হয়ে উঠেছে, সন্দেহ নেই। একথা সত্য, যে রাজ্যের গরীব খেটে খাওয়া মানুষের অবস্থা ফেরানোর কথাই বলে থাকেন রাজনীতিবিদরা, কিন্তু তা করতে গিয়ে এই বিরাট অর্থব্যয় ঠিক কতটা যুক্তিযুক্ত, সেই প্রশ্ন উঠে আসে অনিবার্য ভাবেই।
রাজ্যে ভোট যুদ্ধ শুরু হতে আর বেশি দেরি নেই। রাত পোহালেই প্রথম দফার নির্বাচন দেখবে গোটা বাংলা। এরপর দ্বিতীয় দফা ভোট অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১ এপ্রিল। তাঁর আগে দ্বিতীয় দফায় যাঁরা ভোটে লড়তে নামছেন তাঁদের অর্থনৈতিক অবস্থার দিকে নজর রেখে সম্প্রতি করা হয়েছিল একটি সমীক্ষা। পশ্চিমবঙ্গ ইলেকশন ওয়াচ এবং অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস নামক বেসরকারি সমীক্ষক সংস্থার রিপোর্ট বলছে, দ্বিতীয় দফায় ভোট প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ের ময়দানে নামছেন মোট ২৬ জন কোটিপতি। দ্বিতীয় দফায় মোট প্রার্থীর সংখ্যা ১৭১ জন। ফলে শতাংশের হিসেবে কোটিপতির পরিসংখ্যান দাঁড়াচ্ছে ১৫%।
এখানেই শেষ নয়, ভোটে দাঁড়ানো প্রার্থীদের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি নিয়েও করা হয়েছে খুঁটিনাটি গবেষণা। আর তা থেকে জানা যাচ্ছে, ১৭১ জন মোট প্রার্থীর সম্পদের গড় মূল্য প্রায় ৯২ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা। ভোটমুখী বাংলায় এহেন সমীক্ষার রিপোর্ট যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, প্রথম দফার নির্বাচনেও প্রার্থীদের খুঁটিনাটি নিয়ে করা হয়েছিল অনুরূপ সমীক্ষা। ফলাফলটা দুই দফায় বিশেষ বদলায়নি। প্রথম দফার ক্ষেত্রে মোট ১৯১ জন প্রার্থীর মধ্যে কোটি টাকার মালিক ছিলেন ১৯ জন (১০%)। রাজনীতিই কি সম্পদ বৃদ্ধির হাতিয়ার? পশ্চিমবঙ্গ ইলেকশন ওয়াচ এবং অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মসের সমীক্ষার রিপোর্টে কিন্তু সেই প্রশ্ন উঠতে বাধ্য।