নয়াদিল্লি: সম্প্রতি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলির প্রবেশিকা পরীক্ষা বা JEE মেইন সংগঠিত হয়েছে। অতিমারীর মধ্যেও বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থী তাদের নাম নথিভুক্ত করেছিল পরীক্ষা দেওয়ার জন্যে। মোট নাম নথিভুক্ত করেছিল ৮.৫৮ লক্ষ পরীক্ষার্থী। কিন্তু তাদের ২.২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থী নাম নথিভুক্ত করালেও পরীক্ষা দিতে যায়নি। বাকি ৬.৩৫ লক্ষ পরীক্ষার্থী করোনা ভয়কে উপেক্ষা করে সাহসের সঙ্গে পরীক্ষা দিয়েছে, এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক।
গত ১ থেকে ৬ সেপ্টেম্বর দেশে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলির প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এই পরীক্ষা নেওয়ার জন্যে আগেও সমালোচনার ঝড় বয়েছে দেশে। ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্যের দিক বিবেচনা না করেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্যে কর্তৃপক্ষকে তুলোধনা করেছিল বিরোধীরাও। পাশাপাশি একাধিক পরীক্ষার্থীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছিল এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। কিন্তু বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করায় খুশি কেন্দ্রীয় শিক্ষা বোর্ড। পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসার সাহায্য করায় টুইট করে সমস্ত রাজ্যকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর কথায়, এই পুরো প্রচেষ্টা সমবায় ফেডারেলিজমের চেতনা প্রদর্শন করেছে।
যদিও শিক্ষামন্ত্রী স্বীকার করেছেন, জানুয়ারির মতো বেশি পরীক্ষার্থী সেপ্টেম্বরে JEE মেইন পরীক্ষায় উপস্থিত ছিল না। অনেকেই এই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। তার জন্যে যে করোনা পরিস্থিতিই দায়ী এ কথা অনস্বীকার্য। তিনি জানান, বছরে ২ বার ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলির প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হয়। রীতি অনুযায়ী আগের পরীক্ষা চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সংগঠিত হয়েছিল। সেক্ষেত্রে শিক্ষামন্ত্রীর যুক্তি পরীক্ষার্থীদের অনেকেই হয়ত জানুয়ারির পরীক্ষায় ভাল করে থাকতে পারে ভেবে এবারের পরীক্ষা এড়িয়ে গিয়েছে।
অন্য আরেকটি টুইট করে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী জানান, এর থেকেও বেশি দেরী করলে পড়ুয়াদের ভবিষ্যত স্বার্থের পক্ষে তা ভাল হত না। সেই কথা মাথায় রেখেই কেন্দ্র শিক্ষা বোর্ড এই পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার সর্বদা ছাত্র কল্যাণ ও শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছে। তাঁর কথায় সবসময় যুবসম্প্রদায়ের জন্য কাজ করবে এনডিএ সরকার।