ভুয়ো নিয়োগপত্রে ২ বছর ৫০০০০ বেতনে শিক্ষকতা! প্রকাশ্যে বাংলার নিয়োগ কেলেঙ্কারি!

হাওড়ার একটি মাদ্রাসা স্কুলে টানা ২ বছর ধরে দুই শিক্ষক জাল নিয়োগপত্র নিয়ে চাকরি করে যাচ্ছিলেন। বিষয়টি জানা জানি হয়ে যেতেই ওই দুই শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন বলে জানানো হয়েছে বিদ্যালয় তরফে।ওই দুই শিক্ষকের নাম শেখ হাসিম আবদুল হালিম ও সুতপা দাস।

 

কলকাতা: হাওড়ার একটি মাদ্রাসা স্কুলে টানা ২ বছর ধরে দুই শিক্ষক জাল নিয়োগপত্র নিয়ে চাকরি করে যাচ্ছিলেন৷ বিষয়টি জানা জানি হয়ে যেতেই ওই দুই শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন বলে জানানো হয়েছে বিদ্যালয় তরফে৷ ওই দুই শিক্ষকের নাম শেখ হাসিম আবদুল হালিম ও সুতপা দাস। কিন্তু, কীভাবে তাঁরা নিয়োগ পেলেন? বড়সড় কেলেঙ্কারির ইঙ্গিত পাচ্ছেন বহু চাকরিপ্রার্থী৷

মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের নিয়োগপত্র জাল করার অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। হাওড়ার পাঁচপাড়া হাই মাদ্রাসা স্কুলে এই ঘটনাটি ঘটেছে। গত ২০ জুন মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের কর্তৃপক্ষ ওই দুই শিক্ষকের নিয়োগের বৈধতা জানতে চেয়ে মাদ্রাসা ডাইরেক্টরেটকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। বিদ্যালয় তরফে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে বিষয়টি তদন্ত করতে বলা হয়। এরপর সার্ভিস কমিশন ডাইরেক্টরেটকে বলে, ওই দুই শিক্ষকের বৈধ নিয়োগপত্র কমিশন দেয়নি। মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের অধিকর্তা আবিদ হুসেন ঘটনাটির তদন্ত করেছিলেন।

শেখ হাসিম আবদুল হালিম ও সুতপা দাসের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলেছে ডাইরেক্টরেট। তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। পাঁচপাড়া মাদ্রাসার টিচার-ইনচার্জ শেখ সইফুদ্দিন, ডাইরেক্টরেটের চিঠি পাওয়ার পর জানিয়েছেন, ওই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে সোমবার বিদ্যালয়ে বৈঠক ডাকা হয়৷ প্রতিযোগিতামূলক এসএলএসটি (এটি) পরীক্ষার ভিত্তিতে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমেই এই রাজ্যের সরকারি আর্থিক সাহায্যে চলা মাদ্রাসাগুলিতে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। ২০১৮ সালে আড়াই হাজার শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল। হাওড়ার ওই মাদ্রাসায় সেই সময় এই দু’জন শিক্ষক সহ মোট ১৫ জনকে নিয়োগ করা হয়।

প্রথম ১৩ জনের কমিশনের নিয়োগপত্র থাকলেও বাকি দুজনের তা ছিল না। বিদ্যালয় তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত দু’জন পরে এসেছিলেন। তারা ২০১৮ সালের জুলাই মাসে কাজে যোগ দিয়েছিলেন। টানা ২ বছর ৫০ হাজার টাকা বেতনের বিনিময়ে অবৈধভাবে ওই দুজন শিক্ষকতা চালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − 8 =