কলকাতা: রেশন বন্টন মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। প্রায় ২০ ঘণ্টা ম্যারাথন তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদের পর শুক্রবার ভোর ৩টের সময় রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। হাবড়ার বিধায়ক জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিক এর আগে রাজ্যের খাদ্য মন্ত্রী ছিলেন। রাজ্যেও হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার গ্রেফতারিতে শোরগোল রাজ্যজুড়ে। এরই মধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে তাঁর সম্পত্তির খতিয়ান৷ যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা৷
২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনের কাছে জ্যোতিপ্রিয় যে হলফনামা জমা দিয়েছিলেন, তাতে দেখা যায়, ২০১৫-১৬ সালে তাঁর রোজগার ছিল ২,৪০,৯১৭ টাকা। ২০১৬-১৭ সালে তা বেড়ে হয় ১১,৯৮,১৪৮ টাকা। ২০১৭-১৮ সালে ১২,৪০,২৫৫ টাকা। ২০১৮-১৯ সালে ৫১,৯৩৫৭৬ টাকা এবং ২০১৯-২০ সালে ৪০,২১,৯১০ টাকা। অর্থাৎ লাগাতার তাঁর সম্পত্তি বৃদ্ধি ঘটেছে৷ পাঁচ বছরের মধ্যে কী ভাবে লাফিয়ে বাড়ল সম্পত্তি? ভাবাচ্ছ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের৷
হলফনামা অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আয়কর দফতরকে যে হিসাব দিয়েছিলেন, তাতে তাঁর রোজগার ছিল ৪০ লক্ষ টাকা। স্ত্রীর আয় ১৮ লক্ষ টাকা। জ্যোতিপ্রিয়র নিজের নামেই রয়েছে ১৪টি ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্ট। স্ত্রীর নামে আরও ৭টি। হলফনামায় নিজের ১২টি ফিক্সড ডিপোজিটের কথাও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। বালুর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৩ কোটি টাকার বেশি। তাঁর স্ত্রীর নামে রয়েছে ২ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পত্তি৷
ইডি-র কর্তারা আরও জানতে পেরেছেন যে, সল্টলেকের সামন্ত কোঅপারেটিভ দেব ব্যাঙ্ক লিমিটেডে ২০টি অ্যাকাউন্টে আরও প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে৷ মন্ত্রীর স্ত্রীর নামে থাকা ৪টি ফিক্সড ডিপোজিটে সঞ্চিত রয়েছে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা। সামন্ত সমবায় ব্যাঙ্কে বিপুল শেয়ারও রয়েছে বনমন্ত্রীর নামে। গত দশ বছরে কার্যত মল্লিক দম্পতির ‘সম্পত্তি ফুলে কলাগাছ’৷