কলকাতা: টেটের সংরক্ষিত প্রার্থীদের পাশের নম্বর কত? এক মত হতে পারলেন না কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতি। একই মামলায় ভিন্ন মত প্রকাশ করলেন দুই বিচারপতি। মতানৈক্যের কারণে মামলাটি গেল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে৷ সেখান থেকে তৃতীয় বেঞ্চে যাবে মামলা।
টেট পাশের জন্য সংরক্ষিত প্রার্থীদের ন্যূনতম প্রাপ্ত নম্বর ৫৫ শতাংশ। ১৫০ নম্বরের পরীক্ষায় ৮২.৫ পেলে ৫৫ শতাংশের কোটা পূরণ হয়। কিন্তু, জাতীয় শিক্ষক শিক্ষণ পর্ষদ (এনসিটিই)-এর নিয়ম অনুযায়ী, পরীক্ষার্থীরা যদি ৮২ নম্বর পেয়ে থাকেন, তাহলেই তাঁদের উত্তীর্ণ বলে গণ্য করা হয়। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের যুক্তি, ১৫০-এর মধ্যে ৮২ নম্বর পেলে হয় ৫৪.৬৭ শতাংশ। সেক্ষেত্রে কিন্তু, উল্লিখিত নিয়ম অনুযায়ী ৫৫ শতাংশ নম্বর হচ্ছে না। ১ নম্বর বেশি হলে তবে তা শতাংশের বিচারে ৫৫.৩৪ হত। সে ক্ষেত্রে ৫৫ শতাংশের নিয়মও যথাযথ হত৷
পাশ মার্কস নিয়ে এই জটিলতার জেরেই এনসিটিই ৮২ নম্বরকে পাশ হিসাবে ধরার কথা বলা হয়েছিল। এই সংক্রান্ত একটি মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও জানিয়েছিলেন, পরীক্ষার্থী ৮২ পেলে টেট উত্তীর্ণ হিসাবে গণ্য করা হবে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই ডিভিশন বেঞ্চে যান কয়েক জন প্রার্থী।
বুধবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে ছিল শুনানি৷ কিন্তু বিচারপতিরা নম্বর নিয়ে সহমতে পৌঁছতে পারেননি। বিচারপতি তালুকদার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কেই মান্যতা দেন। কিন্তু বিচারপতি ভট্টাচার্যের মতে, ৮২.৫-পেলেই যদি প্রার্থী পাশ নম্বর (৫৫ শতাংশ) পেয়েছেন বলে ধরে নেওয়া হয়, তবে আধ নম্বর বাড়িয়েই ধরা উচিত।
নম্বর জটিলতা কাটাতে মামলাটি হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে যায়। সেখান থেকে প্রধান বিচারপতি তৃতীয় বেঞ্চে এই মামলা পাঠাবেন। সেখানেই কী রায় হয় সেচাই দেখার৷