কলকাতা: স্যারের কাছে প্রাইভেট টিউশনে পড়তে যায়নি তারা। আর সেটাই যত অপরাধ। ১১ জন পড়ুয়াকে ইচ্ছাকৃতভাবে ফেল করানোর অভিযোগ উঠল কাটোয়া কলেজের জুয়োলজি বিভাগের ১ জন অধ্যাপক ও ২ জন অধ্যাপিকার বিরূদ্ধে। কাটোয়া কলেজের জুয়োলজি বিভাগের অধ্যাপক কৌশিক সরকার, সুলগ্না মুখোপাধ্যায় ও চন্দ্রাণী দাসের নাম উল্লেখ করে কলেজ অধ্যক্ষ নির্মলেন্দু সরকারের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেন ১১জন পড়ুয়া। তাঁদের অভিযোগ, পঞ্চম সেমিস্টার পরীক্ষার আগে থেকেই জুয়োলজি বিভাগের এই ক’জন পড়ুয়াদের উপর অসন্তুষ্ট ছিলেন ওই তিন অধ্যাপক।
তবে তাঁদের যে এরকম ভয়ঙ্কর পরিণতি হতে চলেছে, তা কল্পনাও করতে পারেননি তাঁরা। কাটোয়া কলেজের অকৃতকার্য ছাত্রছাত্রীরা জানান, “বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ইন্টারনালের ১৫ নম্বর এবং হোম সেন্টারে প্র্যাকটিক্যালের ২০ নম্বর-সহ মোট ৩৫ নম্বর কলেজের হাতেই থাকে। একটি পেপারে মোট মার্কস ৩৫ এবং বাইরের সেন্টারে থিওরির ৪০ নম্বর-সহ মোট ৭৫ নম্বর থাকে। এই ৭৫ নম্বরের মধ্যে ২৬ পেলেই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পাশ করা যায়।” ছাত্রছাত্রীদের যুক্তি, “থিওরিতে কেউ শূন্য পেলেও কলেজের হাতে থাকা ৩৫ নম্বরের মধ্যে ২৬ পেলেই পাশ করা যায়। কিন্তু কলেজে ইচ্ছাকৃতভাবে ফেল করানো হয়েছে।” এর পরেই ছাত্রছাত্রীদের বিস্ফোরক অভিযোগ, প্রাইভেট টিউশন না পড়ায় প্রতিহিংসার বশেই ফেল করানো হয়েছে৷