জম্বু ও কাশ্মীর: গত বছর উপত্যকায় ৩৭০ ধারা লোপ করতে আধা সেনা বাহিনী মোতায়েন করেছিল কেন্দ্র। বুধবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল মোদী সরকার। কাশ্মীর থেকে সরানো হচ্ছে ১০ হাজার আধাসেনা বাহিনীকে।
গত মে মাসে ১০ কোম্পানি সিএপিএফ সেনা জাওয়ানকে সরিয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বুধবার, দেশের কোথায় কত সেনা মোতায়েন করা আছে, সেই নিয়ে পর্যালোচনা করে মন্ত্রক এক নির্দেশিকা জারি করেছে৷ ওই নির্দেশিকা অনুযায়ী, জম্বু ও কাশ্মীর থেকে ১০০ কোম্পানি সেনা জাওয়ানদের সরিয়ে নিয়ে তাদের ফের আগের জায়গায় বদলি করা হচ্ছে।
ওই ১০০ কোম্পানি জাওয়ানদের মধ্যে ৪০ কোম্পানি জাওয়ানদের সিআরপিএফ এবং বাকি ৬০ কোম্পানির মধ্যে ২০ কোম্পানি করে জাওয়ানদের সিআইএসএফ, বিএসএফ ও এসএসবি'র সঙ্গে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। মন্ত্রক জারি করা নির্দেশিকায় এমনই জানিয়েছে। জাওয়ানদের জম্বু কাশ্মীর থেকে সরিয়ে পুনরায় তাদের আগের অবস্থানে বদলির কথা ঘোষণা করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
গত বছর কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা লোপের জন্য নিরাপত্তা বলয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল উপত্যকাকে। দীর্ঘদিন ধরে সেখানে বন্ধ ছিল ইন্টারনেট পরিষেবা, স্কুল কলেজ ইত্যাদি। করোনা পরিস্থিতির পর কিছুটা স্বাভাবিকতায় ফিরেছে উপত্যকা৷ কিছু কিছু জায়গায় বর্তমানে চালু করা হয়েছে ফোর জি ইন্টারনেট পরিষেবাও। জঙ্গি দমনে ভারতীয় জাওয়ানদের সাফল্য প্রকাশ্যে এসেছে। এই সমস্ত দিক বিবেচনা করেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সেনা বাহিনী সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু এই ঘোষণার ঠিক পরে আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকালে সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষের দৃশ্য সামনে এসেছে৷
সাত সকালে ৩ জঙ্গি নিহত হয়েছে সেনা বাহিনীর গুলিতে। এই ৩ জঙ্গির মধ্যে একজন কুখ্যাত লস্কর কম্যান্ডার নাসিরুদ্দিন লোন ছিল বলে জানা গেছে। নাসিরুদ্দিন গত ১৮ এপ্রিল ও ৪ মে'র জঙ্গি হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল। এই দুই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন মোট ৬ জন সিআরপিএফ জাওয়ান। নির্দেশিকা জারির ঠিক পরের দিনই এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় স্বাভাবিক ভাবেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের মাথায় হাত পড়েছে।